প্রকাশঃ ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০৬:১৯:৩০
| আপডেটঃ ২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১০:০৯:১৩
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। প্যারিসের আদলে রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে নির্মিত লাভ পয়েন্টে আলাউদ্দিন-লিমা দম্পত্তির মর্মান্তিক ঘটনাটির বর্ণনা না থাকায় রাঙামাটিতে আগত পর্যটকরা লাভ পয়েন্টে ঘটনাটির বিবরণ সম্বলিত একটি বোর্ড স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত: ২০১৪ সালের মার্চ মাসের ২০ তারিখে। রাঙামাটির পর্যটনের ঝুলন্ত ব্রীজের অদূরে কাল বৈশাখি ঝড়ের কবলে পড়ে কাপ্তাই হ্রদে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী পর্যটক আলাউদ্দিন পাটোয়ারী ও তাঁর নববধূ আইরিন সুলতানা লিমা। এ ঘটনার পরের দুই দিন পুরো কাপ্তাই হ্রদ চষে ফেলেছিল ডুবুরি আর উদ্ধারকারী দল। ঘটনার তৃতীয় দিন সকালে একে অন্যকে জড়িয়ে ধরা অবস্থায় হ্রদে ভেসে ওঠে দুজনের মৃতদেহ। মরণও যেন পারেনি দুজনকে আলাদা করতে। ওই বছরের অর্থাৎ ২০১৪ সালের ২২ মার্চ রাঙামাটির ডিসি বাংলোসংলগ্ন পার্কের পাশের হ্রদেই তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
সেই আলাউদ্দিন-লিমা দম্পতিসহ পৃথিবীর সব ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাঙামাটির পলওয়েল পার্কে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে প্রথমে লাভ পয়েন্টে নামফলক স্থাপন করা হয়। পরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে লাভ চিহৃ খোচিত লাভ পয়েন্ট উদ্বোধন করা হয়। এটি দেশের প্রথম লাভ পয়েন্ট। যেখানে ভালোবাসার স্মারক হিসেবে একটি দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা রয়েছে এবং এখানে বেড়াতে আসা প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীরা নিজেদের পারস্পরিক বন্ধনের চিহ্ন হিসেবে একটি স্ট্যান্ডে তালা ঝুলিয়ে চাবিটি কাপ্তাই হ্রদে ছুড়ে ফেলবেন।
কিন্তু আলাউদ্দিন-লিমা দম্পতির জীবনে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনার বর্ননা এ লাভ পয়েন্টের কোথাও নেই। ফলে দুরদুরান্ত থেকে রাঙামাটি বেড়াতে আসা মানুষেরা কি জন্য লাভ পয়েন্ট করা হলো সে বিষয়ে জানতে পারছে না। কাপ্তাই হ্রদে নৌ ভ্রমনে মানুষকে আরো সচেতন করতে আর ভালোবাসায় উদ্বুদ্ধ করতে আলাউদ্দিন-লিমা স্মরনে নির্মিত লাভ পয়েন্টে তাদের ঘটনার বর্ননা দিয়ে লোকজনকে জানানোর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। তা না হলে রাঙামাটির লাভ পয়েন্ট নির্মানের উদ্দেশ্য ব্যাহত হওয়ার আশংকা রয়েছে।