বুধবার | ২৯ জানুয়ারী, ২০২৫

বান্দরবানে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশঃ ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫ ০৩:১৮:৩১ | আপডেটঃ ২৯ জানুয়ারী, ২০২৫ ০৮:৩৫:০০
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পুতুল রানী বড়ুয়ার মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দীপক বড়–য়া (দীপু) ।

২৭জানুয়ারি (সোমবার) বান্দরবান প্রেসক্লাবের হলরুমে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দীপক বড়ুয়া (দীপু) ও তার পরিবারের সদস্যরা এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দীপক বড়ুয়া (দীপু) আর তিনি বক্তব্য পাঠ করতে গিয়ে বলেন, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পুতুল রানী বড়ুয়া অত্যন্ত সুচতুর এক নারী, তিনি বিভিন্নভাবে আমাদের পরিবারকে হয়রানি করছে।

এসময় দীপক বড়–য়া (দীপু) আরো বলেন, ২০১৯সালে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের মনজয় পাড়ায় ইমন     বড়ুয়া নামে একজনের মৃত্যুকে জড়িয়ে মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পুতুল রানী বড়ুয়ার মেয়ে তান্নি বড়ুয়া আমাকে ও আমার ভাইসহ ৭জনকে আসামী করে একটি মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করে। এই হত্যা মামলায় আমি ও আমার পরিবারের কেউ জড়িত নহে।  

এসময় তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পুতুল রানী বড়ুয়া ও তার পরিবার সম্প্রতি বান্দরবান প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে আমার নামে আবারো বিভিন্নভাবে মিথ্যাচার শুরু করেছে। সংবাদ সম্মেলনে আমার পরিবার বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে মামলা থেকে অব্যাহতির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি বলে উল্লেখ করেছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্ভব বটে। মূলত ২০১৯সালের ২৪এপ্রিল জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সামান্য কথা কাটাকাটির জেরে মৃত ভবতোষ এর ছেলে ইমন বড়ুয়া (৩৫) মদ্যপ অবস্থায় এলাকার কিছু মানুষের সাথে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারিতে সড়কে পড়ে আহত হয়,পরবর্তী আহত অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে। এরই সূত্র ধরে ২৫ এপ্রিল পুতুল রানী বড়ুয়ার মেয়ে ও কক্সবাজার পৌর যুবলীগ এর সভাপতি আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ও শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী বিপ্লব বড়ুয়ার ডালিম বড়ুয়ার স্ত্রী তান্নি বড়ুয়া বাদী হয়ে আমি আমার দুই ভাইসহ ৭জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা দায়ের করে।

উক্ত মামলায় আমাকে ১নং আসামি করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ঘটনার দিন আমি কক্সবাজারের নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলাম, উক্ত ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা । আমাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। মামলায় আরো যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তাদের অনেকে সেই দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলনা, উক্ত মামলায় আমি ও আমাদেরকে ফাঁসানোর একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক ফাঁদ। আমি দীপক বড়–য়া হলফ করে বলছি ইমন হত্যাকান্ডে কোনভাবেই আমি জড়িত নই। আমার ব্যবহৃত মুঠোফোনের কল ট্র্যাকিং করলে এটা প্রতীয়মান হবে যে আমি ঘটনার দিন কোথায় ছিলাম। কিন্তু ইমন হত্যা মামলায় আমাকে এক নাম্বার আসামী করে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে আর তার সাথে আমার ভাই বাবুল বড়–য়া ও প্রদীপ বড়–য়া শিবুকে মামলার আসামী করে হয়রানি করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, আমি ১২ বছর ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলাম, সে সুবাধে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ করেছি আর বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম আর তাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে এবং এখনো বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে পুতুল রানী বড়–য়া ও তার দোসরেরা।

এসময় দীপক বড়ুয়া (দীপু) ইমন হত্যা মামলার প্রকৃত আসামীকে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি প্রদান এবং তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার অন্যতম স্বাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের ৯নং ওয়ার্ডের মনজয় পাড়ার বাসিন্দা উতিমং চাকমা ও দানেশ বড়–য়া দানু। স্বাক্ষীরা জানান, মিথ্যা হত্যা মামলা দিয়ে দীপক বড়ুয়া (দীপু) ও তার পরিবারের সদস্যদের ফাঁসানো হয়েছে। ইমন হত্যা মামলায় দীপক বড়–য়া (দীপু) ও তার পরিবারের কেউ জড়িত নয়।

সংবাদ সম্মেলনে এসময় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হক, নির্বাহী সদস্য আবুল বশর সিদ্দিকি, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এন এ জাকিরসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

বান্দরবান |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions