রবিবার | ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪

সাজেকের বাঘাইহাট সড়কে পানি উঠায় আটকা পড়েছে ৩শতাধিক পর্যটক

প্রকাশঃ ০৩ অগাস্ট, ২০২৪ ০৬:০১:৩৯ | আপডেটঃ ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১০:৫৬:৫১

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। টানা ভারী বৃষ্টিপাতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাট   মাচালং সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় মেঘের রাজ্য নামে খ্যাত সাজেকে শনিবার(০৩ আগস্ট) সকাল থেকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে সাজেকে বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়েছেন শতাধিক পর্যটক।

 

 

স্থানীয় সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সূত্রে জানা গেছে, টানা ভারী বৃষ্টিপাতে বাঘাইছড়ির সাজেক ইউনিয়নের কাচালং গঙ্গারাম নদীর পানি বেড়ে যায়। এতে সাজেকের বাঘাইহাট মাচালং  সড়ক,অন্যদিকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মাইনী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় কবাখালী এলাকায় সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সাজেকের সাথে সব ধরণের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে গত শুক্রবার সাজেকে বেড়াতে গিয়ে আটকে পরে ছোট বড় ৫৫ টি যানবাহন সহ শতাধিক পর্যটক। 

 

 

সাজেক হিল ভিউ রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী ইন্দ্র চাকমা  জানান, গত শুক্রবারে যারা সাজেকে বেড়াতে এসেছে তারা মূলত আটকে পড়েছে। যা আনুমানিক শতাধিক মতো পর্যটক হবে। রাতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় আজকে( শনিবার) সকালে বাঘাইহাট মাচালং সড়কে পানি উঠে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় সাজেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পর্যটকরা আটকে পড়ে।

 

 

সাজেক রিসোর্ট- কটেজ মালিক সমিতির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মতিজয় ত্রিপুরা জানান, শুক্রবার রাতে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় সাজেকের বাঘাইহাট মাচালং সড়ক আর দীঘিনালার কবাখালী সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে আজকে( শনিবার) সকালে খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকের উদ্দেশ্যে কোন গাড়ি আসতে পারে নাই এবং সাজেক থেকেও কোন গাড়ি যেতে পারে নাই। ফলে গত শুক্রবারে যে সকল পর্যটক সাজেকে বেড়াতে এসেছে তারাই আটকে পড়েছে। আনুমানিক আটকে পরা পর্যটকের সংখ্যা  ৩শতাধিক পর্যটক হবে। আজকেও তাদের থাকতে হবে, সড়ক থেকে পানি না কমলে তারা যেতে পারবে না। 

 

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার জানান, টানাবৃষ্টিতে সাজেক যাওয়ার পথের কয়েকটি সড়কে পানি থাকায় সাজেকে আনুমানি শতাধিক পর্যটক সাজেকে আটকা পড়েছে। তারা সকলে সুস্থ আছে। সড়ক থেকে পানি সরে গেলে তারা ফিরতে পারবেন। 

 

রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions