প্রকাশঃ ১৯ জুনe, ২০২৪ ১২:৫০:৫৫
| আপডেটঃ ২২ নভেম্বর, ২০২৪ ০৮:০৫:৪২
কৌশিক দাশ, সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। দেশী বিদেশী আমে সয়লাব হয়ে ওঠেছে বান্দরবান বাজার। বান্দরবান বাজারের বিভিন্ন স্থানে এখন বিক্রি হচ্ছে দেশী জাতের আম রুপালী, রাংগোয়াই আর বিদেশী জাতের আম মিয়াজাকি,কাটিমন, কিউজাই, বুনাই কিং,ব্যানানা ম্যাংগোসহ বাহারী রকমের রসালো আম।
জেলা সদরের বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, দেশীজাতের রুপালী আর রাংগোয়াই বিক্রি হচ্ছে সাইজভেদে ৬০-১০০ টাকা আর বিদেশী জাতের আম কাটিমান ১৫০-১৮০ টাকা, কিউজাই ১২০-১৫০টাকা ,বুনাই কিং ১৫০-১৮০ টাকা আর ব্যানানা ম্যাংগো ২০০-২৭০ টাকা।
এদিকে ফলের মৌসুমে বাজার দখল করে নিয়েছে নানাজাতের আমে, আর ক্রেতারা পুষ্টির চাহিদা মেটাতে বাজার থেকে ক্রয় করছে নানা রকম আম।
আম কিনতে আসা মো.রাফি বলেন, বাজারের নতুন মৌসুমের ফল আসা শুরু করেছে, পছন্দের মতন নানা ধরনের ফল বাজারে এখন রয়েছে তবে সবচেয়ে বেশী দেখা যাচ্ছে দেশী বিদেশী আম। বান্দরবানের ফলগুলো এমনিতে পুষ্টিতে ভরপূর আর পোকা কম তাই এখন বাজার থেকে আম কিনছি আর দাম ও হাতের নাগালে।
বিদেশী আম কিনতে আসা মো.লোকমান জানান, একসময়ে বান্দরবানে শুধু দেশী আম উৎপাদন হলেও এখন বিদেশী আমও পাওয়া যাচ্ছে আর পাহাড়ের জলবায়ু ও আবহাওয়া ভালো হওয়ায় আমগুলো প্রচুর মিষ্টি হচ্ছে। বিদেশী আম ব্যানানা ম্যাংগো ২৭০টাকা কেজিতে কিনেচি বলে তিনি জানান বান্দরবানের আমের স্বাদ ভুলবারমত নয়।
জেলা সদরের পাইকারি ফল ব্যবসায়ী আফসার জানান, পাহাড়ে বিশুদ্ধ বাতাসে এখন জন্মাচ্ছে টসটসে দেশী বিদেশি আম। এই বছর আম, কাঁঠাল, আনারস, লিচু, ড্রাগন ফলের ভালো ফলন হয়েছে। স্থানীয় হাটবাজারগুলোতে এখন তাল, লিচু,কাঠালের পাশাপাশি প্রচুর দেশী বিদেশী আম পাওয়া যাচ্ছে আর দামও ক্রেতার হাতের নাগালে। পাইকারি ফল ব্যবসায়ী আফসার আরো জানান, এখানে উৎপাদিত ফলগুলো ফরমালিনমুক্ত আর তাই বান্দরবান বাজারের পাশাপাশি বান্দরবানের উৎপাদিত ফলগুলো কেরানীহাট, আমিরাবাদ, চট্টগ্রাম ,ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে সহজেই।
কৃষি বিভাগের সুত্রে জানা যায়, বান্দরবানের সাত উপজেলার প্রচুর ফল উৎপাদন হয় আর জেলার রোয়াংছড়ি,রুমা,থানচি উপজেলার পাশাপাশি জেলা সদরের চিম্বুক এলাকায় প্রচুর আম উৎপাদন হয়। পার্বত্য জেলা বান্দরবানে প্রচুর ফল উৎপাদন হয় আর প্রচুর চাহিদা এই জেলার দেশী বিদেশী আমের।
এদিকে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে কৃষির উন্নয়নে চাষীদের বিনামুল্যে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, বীজ,সার ও কৃষি যন্ত্রপাতি দেয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত করে কৃষি কর্মকর্তারা জানান বান্দরবানে পূর্বের চাইতে এখন ফল ফলাদির উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বান্দরবানের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মো. হাসান আলী জানান, বান্দরবানে এই মৌসুমে প্রচুর আম উৎপাদন হয় আর দেশী জাতের পাশাপাশি বিদেশী আম চাষ করে বান্দরবানের চাষীরা ভালো দাম পায়। তিনি আরো জানান, গতবছর বান্দরবান থেকে প্রায় ৫টন বিদেশী আম বান্দরবান থেকে বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে আর এবছরও বান্দরবানের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে আম পাঠানোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বান্দরবানের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মো.হাসান আলী আরো জানান, বান্দরবানে ফল-ফলাদির উৎপাদন বাড়াতে কৃষি কর্মকর্তারা দুর্গম পাহাড়ের বিভিন্ন আনাচে কানাছে ছুটে যাচ্ছে আর কৃষকদের পরামর্শের পাশাপাশি বাজারজাতকরণে সহায়তা করছে।