প্রকাশঃ ২৮ অক্টোবর, ২০১৮ ০৭:১১:৫৬
| আপডেটঃ ২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১১:৫২:০২
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৯৬ সনে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম জাতীয় কমিটি করে দেই, আমরা মনে করেছি পার্বত্য এলাকার সমস্যা রাজনৈতিক সমস্যা, এটি রাজনৈতিক উপায়ে সমাধান করতে হবে আমরা সেভাবে এগিয়েছি এবং ১৯৯৭ সনের ২রা ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। বিশ্বের অনেক দেশে আমাদের পরে অনেকে শান্তি চুক্তি করেছে কিন্তু তারা অস্ত্র জমা নেয়নি, আমরা অস্ত্র জমা নিয়েছি। পার্বত্য চুক্তি অনুযায়ী অস্ত্রজমাদানকারী সদস্যদের পুর্নবাসন করেছি।
আজ রোববার ঢাকার বেইলি রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, আমরা পাহাড়ে সংঘাত চাই না, শান্তিপুর্ন পরিবেশ বজায় থাকলে উন্নয়ন সম্ভব আর উন্নয়ন হলে দেশ হবে প্রগতির ও সমৃদ্ধির। বিগত ২০ বছর পাহাড় অশান্ত ছিল, আমরা তৃতীয় পক্ষ ছাড়া শান্তি চুক্তি করেছি। শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে যা যা করণীয় আমরা সবই করেছি। শান্তি চুক্তির পর পিছিয়ে পড়া পার্বত্য চট্টগ্রামকে এগিয়ে সরকার বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, আমরা চাই সমতলের মত পাহাড়ও এগিয়ে যাক।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, সম্প্রতি কোটা বাতিল করা হলে আমি পিএসসিসহ বিভিন্ন দপ্তরে বলেছি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কোটা আগের মত বহাল থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী পাহাড়ে উন্নয়নের স্বার্থে স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখতে সবার প্রতি আহবান জানান।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিং এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, গৃহায়ন ও গনপুর্তিমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধি প্রিয় ওরফে সন্তু লারমা,পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রানলয়ের সচিব নুরুল আমিন।
প্রসঙ্গত: ঢাকার বেইলি রোডে ১ দশমিক ৯৪ একর জায়গায় পার্বত্য অঞ্চলের স্বাতন্ত্র্য কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যমন্ডিত শৈল্পিক এ স্থাপনা নির্মাণে ১৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মনোরম পরিবেশে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মান করা হয়।