রাঙামাটির বরকলে বিএনপি উপজেলা কার্যালয় উদ্বোধন রাঙামাটিতে লোকনাথ ব্রহ্মচারী যোগাশ্রম’র পরিচালনা পরিষদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন নতুনভাবে সাজানো হবে বান্দরবান জেলা পরিষদ : অধ্যাপক থানজামা লুসাই সাফ বিজয়ী কন্যাদের রাঙামাটিতে সংবর্ধনা দেয়া হবে শনিবার আদালতের এজলাসে ২ আইনজীবীর বাকবিতন্ডা, আইনজীবীর চেম্বারে হামলার অভিযোগ
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘আমাদেরকে গ্রেফতার করুন। আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করবেন না, বিশেষ করে নারী কর্মীদের। ওরা নিরপরাধ।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি মন্ত্রীকে এসব কথা বলেছেন।
মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিজ কক্ষে তার সঙ্গে বিএনপির তিন নেতা বৈঠক করেন। আগামী ২৯ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি নিতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তারা বৈঠক করেন। বৈঠকে উপস্থিত আরও দুই বিএনপি নেতা হলেন ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী।
এছাড়া সারাদেশে বিএনপি’র যেসব নেতাকর্মীকে গণগ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মুক্তি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছেন বলেও তিনি জানান।
বৈঠক শেষে বের হওয়ার পর তিনি বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে আমরা বারবার ডিএমপির (ঢাকা মহানগর পুলিশ) কাছে অনুমতি চেয়েছি। কিন্তু ডিএমপি আমাদের অনুমতি দেয়নি। তাই আগামী ২৯ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি যাতে দেওয়া হয় সে জন্য আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এসেছি।’
এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করতে অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি ডিএমপি কমিশনারের এখতিয়ার। এখানে আমার কোনও হাত নেই।’
কেন বারবার আবেদন করেও বিএনপি অনুমতি পাচ্ছে না- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জনসভাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে, গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে এমন আভাস পেয়েই হয়তো ডিএমপি অনুমতি দিচ্ছে না বা দেয় না। এছাড়া তো আমি আর কোনও কারণ দেখি না। তারা সারাদেশেই তো সমাবেশ করছে। কোথাও তো কোনও সমস্যা হচ্ছে না। তাহলে ঢাকায় কেন হচ্ছে।’
নিকটবর্তী কোনও সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, এমন কোনও ঘটনার কথা মনে আছে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সেটাও আমি বলতে পারবো না। ডিএমপি বলতে পারবে।’