সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়িতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা সমাজের গুণী লেখক ও চাকমা বর্ণমালা প্রচার এবং লোকসাহিত্য সংরক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী প্রয়াত নোয়ারাম চাকমা'র ১০২তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
সোমবার(২২জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অত্র ইনস্টিটিউটের আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের সদস্য নিলোৎপল খীসা'র সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গিরি দর্পণ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এ. কে. এম মকসুদ আহমেদ।
এ দিন নোয়ারম চাকমা'র জন্মবার্ষিকী'র স্বরণে আলোচনা সভায় উপ-পরিচালক জীতেন চাকমা'র
সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা,উপজাতীয় শরনার্থী বিষয়ক ট্রাস্কফোর্স'র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা,খাগড়াছড়ি সরকারি কলজের সাবেক অধ্যক্ষ মধুমঙ্গল চাকমা,রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল,লেখক ও গবেষক আর্য্যমিত্র চাকমা,সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব আনন্দ মোহন চাকমাসহ আরও অনেকে।
অতিথি বক্তারা বলেন,চাকমা বর্ণমালা রক্ষায় ও সংস্কৃতি চর্চায় নোয়ারাম চাকমা'র ভূমিকা অপরিসীম। তাঁর অক্লান্ত চেষ্টা ও দূরদর্শিতার কারণে আজ চাকমা ভাষা'র বর্ণমালা দৃশ্যমান। চাকমা সমাজের কাছে সর্বদা বেঁচে থাকবেন। তিনি সমাজের তিনি চাকমা ভাষায় বাইবেলের কিছ তিনি স্বর্গমালা,লক্ষীমালা,বুদ্ধমালা সংগ্রহ করে প্রকাশের চেষ্টা চালাতেন। নোয়ারাম চাকমা "চাকমা বর্ণমালা চার্ট" তৈরি করে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর অকাল প্রয়াণে অন্যান্য বিষয়ের মত এগুলোও অপ্রকাশিত থেকে যায় বলে জানান বক্তারা।
তারা আরও জানান,নোয়ারাম চাকমা'র অনেক বিষয় এখনো রয়েছে,হয়তো আগামীতে আরও নতুন কিছু তথ্য সংযুক্ত হলে হয়তোবা অজানা নোয়ারামকে তখন নতুন করে বিশদভাবে জানতে পারবো বলে প্রত্যাশা করেন বক্তারা ।