সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে পার্বত্য জেলা পরিষদের ব্যাপক অনিয়ম, দূর্নীতি ও সরকারের নির্লিপ্ততার বিরুদ্ধে জুতা প্রদর্শন করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) খাগড়াছড়ি জেলা শাখা।
আজ সোমবার (৯ অক্টোবর) সকাল
১০ টার দিকে নারাঙহিয়্যে
রেড স্কোয়ার থেকে মিছিলটি শুরু
হয়ে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের উত্তর
গেটে প্রবেশ করে জেলা
পরিষদ প্রাঙ্গন ঘুরে দক্ষিণ গেট
হয়ে স্বর্নিভর বাজারের পাশে খাগড়াছড়ি-পানছড়ি
সড়কে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন পাহাড়ি ছাত্র
পরিষদের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক নরেশ
ত্রিপুরা, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক
তৃষ্ণাঙ্কর চাকমা ও গণতান্ত্রিক
যুব ফোরামের জেলা দপ্তর সম্পাদক
লিটন চাকমা। জেলা
পরিষদ প্রাঙ্গণে গেলে মিছিলে থাকা
ছাত্র-জনতা দালালদের উদ্দেশ্যে
ঘৃণাভরে জুতা-সেন্ডেল ছুঁড়ে
মারেন এবং অনিয়ম-দূর্নীতির
বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
সমাবেশে ছাত্রনেতা নরেশ ত্রিপুরা বলে,
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ লক্ষ
লক্ষ টাকা ঘুষের বিনিময়ে
লিখিত পরীক্ষায় ফেল করাদেরও ৬
অক্টোবর প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলাফলে পাশ করিয়ে
দেয়। এ
নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে
তড়িগড়ি ফলাফল সংশোধন করে
পুনরায় প্রকাশ করে।
তাতেও নিয়মের তোয়াক্কা না
করে চূড়ান্ত তালিকা থেকে ৪
জনকে বাদ দিয়ে নতুন
৪ জনকে অন্তর্ভূক্ত করে। তার
পরের দিন তড়িগড়ি নিয়োগ
পত্র বিতরণ করা হয়। দূর্নীতি
ও অনিয়মের মাধ্যমে ফল প্রকাশের ফলে
প্রকৃত যোগ্য ও মেধাবীরা
বঞ্চিত হয়েছেন। পার্বত্য
চট্টগ্রামে শিক্ষার ভিত্তি ধ্বংস করে
দিতে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতি মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা
হাটিয়ে নিয়ে শিক্ষক নিয়োগ
বানিজ্য চললেও কোনো জবাবদিহিতা
নেই। জনগণের
প্রকৃত ভোটে নির্বাচিত না
হওয়ায় সরকার কর্তৃক মনোনীত
এসব প্রতিনিধিরা জেলা পরিষদকে অনিয়মের
আতুরঘরে পরিণত করেছে।
যুবনেতা লিটন চাকমা বলেন, জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ নতুন কোন ঘটনা নয়। এগুলো ওপেন সিক্রেট। তাই জেলা পরিষদ অধীনে কোন চাকরি সমাজের কেউ লাভ করলে তাকে বরাবর সন্দেহের চোখে দেখা হয়। কারণ এটা এক প্রকার প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, টাকা ছাড়া জেলা পরিষদের চাকরি হয় না। এসব দালালদের তাড়াতে না পারলে ছাত্রসমাজকে প্রতিনিয়ত ভুগতে হবে।
তিষ্ণাঙ্কর চাকমা বলেন, শিক্ষক
নিয়োগের দুর্নীতি রুঁখতে ঐক্যবদ্ধ ছাত্র
আন্দোলনের বিকল্প নেই।
দুর্নীতির মাধ্যমে যেসব শিক্ষক নিয়োগ
দেয়া হচ্ছে তাঁরা শিক্ষক
সমাজের বোঝা ছাড়া আর
কিছু হবেন না।
কারণ মেধা না থাকায়
তাঁরা একটা মহান পেশাকে
অর্থের বিনিময়ে লুফে নিচ্ছে।
তাদের কাছে শিক্ষা দেয়া
মূখ্য নয়, যেভাবেই হোক
একটা চাকরি পাওয়া প্রধান।