সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি।থাগড়াছড়িতে বিসিএস শিক্ষা সমিতির এক সংবাদ সম্মেলন থেকে তাঁদের দীর্ঘদিনের কিছু সুস্পষ্ট দাবি না মানার অভিযোগ তোলা হয়েছে। সমিতির নেতারা অভিযোগ করেন, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের তফসিলভুক্ত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ৫১২ টি পদ শিক্ষা ক্যাডারের তফসিল বহির্ভুত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগবিধি চূড়ান্ত করা হয়েছে। শিক্ষা ক্যাডারকে অন্ধকারে রেখে এই বিধি করার এখতিয়ার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেই।
শিক্ষা ক্যাডারের দাবিগুলো পূরণ হয়নি বলেই
দাবি আদায়ে আগামী ০২
অক্টোবর ২০২৩ সারা দেশে
একদিনের কর্মবিরতি পালন করা হবে,
শিক্ষা ক্যাডারের ন্যায্য দাবি পূরণে দৃশ্যমান
অগ্রগতি না হলে আগামী
১০, ১১ ও ১২
অক্টোবর টানা তিন দিনের
কর্মবিরতি পালন করা হবে। (সারাদেশের
সরকারি কলেজ, সরকারি মাদ্রাসাসহ
সকল দপ্তর ও অধিদপ্তরে
কর্মরত শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাগণ
সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করবেন)।
সমিতির পক্ষ থেকে জানানো
হয়, এই মূহুর্তে শিক্ষা
ক্যাডারে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তার সংখ্যা ৭ হাজারের
বেশি। এর
মধ্যে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি যোগ্য
১২০০ জন। সহযোগী
অধ্যাপক পদোন্নতি যোগ্য ৩০০০ জন,
সহকারি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি যোগ্য
কর্মকর্তা আছেন প্রায় ৩০০০
জন। এই কর্মকর্তাদের
পদোন্নতির জন্য সরকারের কোন
অতিরিক্ত অর্থ প্রয়োজন নেই। অন্য
ক্যাডারের মত শিক্ষা ক্যাডারে
ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি অনুসৃত না হওয়ায়
অন্যান্য ক্যাডারের তুলনায় শিক্ষা ক্যাডার
কর্মকর্তাগণ পিছিয়ে আছেন।
অন্য ক্যাডার কর্মকর্তারা পঞ্চম গ্রেড হতে
তৃতীয় গ্রেডে পদোন্নতি পান। কিন্তু
শিক্ষা ক্যাডারে সর্বোচ্চ পদ অধ্যাপক পদটি
চতুর্থ গ্রেড হওয়ায় শিক্ষা
ক্যাডারের পঞ্চম গ্রেড হতে
তৃতীয় গ্রেডে পদোন্নতির সুযোগ
নেই। চতুর্থ
গ্রেডেই আটকে থাকছেন।
অধ্যাপক পদটি তৃতীয় প্রেডে
উন্নীত করা এবং আনুপাতিক হারে
প্রথম ও ২য় গ্রেডের
পদ সৃষ্টি করা জরুরী
হয়ে পড়েছে।
জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫তে
অধ্যাপকদের তৃতীয় গেডে (সিলেকশন
গ্রেড) উন্নীত হওয়ার সুযোগ
রহিত হয়ে ৪র্থ গ্রেডেড
অবনমন ঘটে। বিষয়টি
সেসময় মাননীয় প্র্রধানমন্ত্রীর নজরে
আনা হলে তিনি তৎকালীন
অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কমিটি ও
মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে আরেকটি কমিটি গঠন
করে দ্রুততার সাথে নতুন পে-স্কেলের মাধ্যমে সৃষ্ট সমস্যাসমূহ সমাধানের
নির্দেশ দেন। এ
কমিটিসমূহের সুপারিশে শিক্ষা ক্যাডারের অধ্যাপক
পদমর্যাদাসম্পন্ন পদসমূহের মধ্যে ৪২৯টি পদ
তৃতীয় গ্রেডে উন্নীত করার
প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। কিন্তু
সম্পূর্ণ অজ্ঞাত কারণে মাত্র
৯৮ টি পদ ৩য় গ্রেডে
উন্নীত করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
সম্মতি দেয়। এক্ষেত্রেও
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা কার্যকর করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে বিসিএস শিক্ষা সমিতির খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি ও খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজে’র অধ্যক্ষ প্রফেসর মিজবাহ উদ্দিন, সমিতির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব মোহাম্মদ ইয়িাছ, খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজে’র উপাধ্যক্ষ মো. সরাফত হোসেন, অধ্যাপক আতিকুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক মো. রফিক উদ্দিন এবং সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আবু ছৈয়দসহ অন্যান্য শিক্ষক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।