প্রকাশঃ ২৬ অগাস্ট, ২০১৮ ১২:২২:৫৭
| আপডেটঃ ১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ০১:১৫:৫২
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। এক সময়কার তুখোড় রাজনীতিবিদ ও রাঙামাটি জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ¦ নাজিম উদ্দিন আহম্মদ বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় সিলেট নিজ বাড়ীতে কখনো হাসপাতালে অবস্থান করছেন। তার অসুস্থ্যতার খবর পেয়ে রোববার সিলেটে নাজিম উদ্দিনের বাসায় দেখতে যান সম সাময়িক রাজনৈতিক বন্ধু সাবেক সাংসদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সদস্য এবং রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার। এসময় তিনি অসুস্থ প্রবীণ এই রাজনীতিকের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং তার পাশে বেশ কিছুটা সময় অবস্থান করেন। বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিনের অসুস্থ্যতায় সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাতের খবরে অনেকে তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও দুজনের এই সাক্ষাতকে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক সম্প্রীতির বন্ধনকে অনেকটা শক্তিশালী করবে বলে মনে করছেন সাধারন মানুষ। অনেকেই ফেইসবুকে বিষয়টি পজেটিভভাবে দেখছেন, রাজনৈতিক মত পার্থক্য থাকলেও পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধবোধও রাজনৈতিক শিষ্টাচার বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন।
প্রসঙ্গত: ১৯৭৮ সালে শহীদ জিয়াউর রহমানের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন আলহাজ¦ নাজিম উদ্দিন আহ¤ম্মেদ। নাজিম উদ্দিন জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাদের একজন, পরবতির্তে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এবং ১৯৮৮ সাল হতে ২০০৮ সাল পযর্ন্ত জেলা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
সেই সময় বৈরী সময়ে শুধু রাঙামাটি নয়, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে সমগ্র পাবর্ত্য চট্রগ্রামে ( রাঙামাটি , খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ) দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেন। যার ফলে এরশাদ সরকারের আমলে রাজবন্দী হিসাবে দীঘর্ ৪ মাস কারাবরণ করতে হয়েছে।
পরবতির্তে ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী শূন্যতার মাঝেও দলকে সুসংগঠিত রাখতে এবং নেতা কর্মীদের মনোবল বাড়াতে পরাজয় জেনেও দলীয় প্রার্থী হয়েছেন ২৯৯ আসনে।
আলহাজ¦ নাজিম উদ্দিনের বড় ছেলে রাঙামাটি সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন বলেন, আমার দেখা মতে বাবা তার দীর্ঘ রাজনীতির জীবনে দল ও সকল সাম্প্রদায়িকতার উদ্বের্ উঠে বিভিন্ন সামাজিক সংস্থার (সহ- সভাপতি :- শাহ উচ্চ বিদ্যালয় , রাঙামাটি সিনিয়র মাদ্রাসা , কেন্দ্রীয় জামে মসজীদ, কেন্দ্রীয় কবরস্থান , কেন্দ্রীয় ঈদগাহ , রাঙামাটি মাজার -সভাপতি :- মোহামেডাম স্পোর্ট্ং ক্লাব , শাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন প্রতিষ্টান ) সাথে জড়িত থেকে নিজেকে জনসেবায় সম্পৃক্ত রেখেছেন।
যার ফলে সমগ্র জেলায় সকলের কাছে " চাচা" হিসাবে খ্যাতি লাভ করেন। আজ বয়সের ভারে ও অসুস্থতার কারনে অনেকটা দুর্বল।
মামুনুর রশীদ মামুন বলেন, তার রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা তার কতটুকু খবর রেখেছে? যিনি তিল তিল করে এই সংগঠনকে আজকের একটি অবস্থানে দাঁড় করিয়েছেন। আজ আমরা( দল )কি তার কর্মের সঠিক মুল্যায়ন করতে পেরেছি ? আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি বাবার এক বুক হতাশা ও লুকানো কষ্ট।
কথাটি বললাম ছেলে হিসাবে নয় - দলের একজন তৃনমূলের নিবেদিত কর্মী হিসাবে।
সবাই দোয়া করবেন বাবার জন্য । আল্লাহ যেন সুস্থ রাখেন ।