শনিবার | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
চট্টগ্রামে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নারী সমাবেশ

নারী নির্যাতনসহ সকল অন্যায় দমন-পীড়ন বন্ধের দাবি

প্রকাশঃ ০৪ মার্চ, ২০২২ ০৮:৫৬:৪৩ | আপডেটঃ ২২ নভেম্বর, ২০২৪ ০৮:০৪:৫৫
সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। হিল উইমেন্স ফেডারেশনের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম নগরীতে নারী সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলনরত নারী সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশন।

আজ শুক্রবার (৪ মার্চ ২০২২) বেলা ৩টার সময় চট্টগ্রাম চেরাগী পাহাড় মোড়ে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশের আগে ডিসি হিল থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি প্রেসক্লাব প্রদক্ষিণ করে আবার চেরাগী পাহাড় মোড়ে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৪শ’ জন নারী অংশগ্রহণ করেন।

সমাবেশের শ্লোগান হচ্ছে- “সামরিকায়ন নারীর নিরাপত্তা হরণ”, ‘নিরাপত্তা টহল ও তল্লাশির নামে নারী নির্যাতন বরদাস্ত করবো না, সাজেক-স্বনির্ভর-বড়ইতলি-ঘিলাছড়ি-রাঙ্গাপান্ন্যার মতো নারী সমাজ জেগে উঠুন’।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নিরূপা চাকমা। সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নীতি চাকমার সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নারী মুক্তি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য ইন্দ্রানী সোমা,প্রগতিশীল চিকিৎসক নেতা ডা. সুশান্ত বড়ুয়া, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের পূর্ব-৩ সভাপতি এডভোকেট ভূলন ভৌমিক, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি অংকন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি রেশমি মারমা ও সংহতি জানান গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের চট্টগ্রাম মহানগরের সহ সভাপতি শুভ চাক।

সভাপতির বক্তব্যে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নিরূপা চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে রাষ্ট্রীয়ভাবে পাহাড়ি জনগণের ওপর জাতিগত নিপীড়ন চলছে। সেখানে দমনমূলক অগণতান্ত্রিক ‘১১ নির্দেশনা’ জারি রেখে অন্যায় দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ধরপাকড়, ঘরবাড়ি তল্লাশি, মিথ্যা মামলায় হয়রানি, নারী নির্যাতন, ভূমি বেদখলসহ নানা জুলুম-নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। যার কারণে পার্বত্য অঞ্চলে নারী ও শিশু সহ সাধারণ মানুষ আজ চরম নিরাপত্তাহীতার মধ্যে রয়েছে।

তিনি পাহাড়ি নারী ধর্ষণের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও অপরাধীদের সাজা দেয়া হয় না অভিযোগ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ধর্ষণের মেডিক্যাল রিপোর্ট দেয়ার ক্ষেত্রে গোপন নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় এ যাবত যত পাহাড়ি নারী ধর্ষণ-খুনের শিকার হয়েছেন কোন ঘটনারই বিচার হয়নি। কারণ, ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও গোপন নিষেধাজ্ঞার করণে বরাবরই মেডিক্যাল রিপোর্টে নেগেটিভ ফলাফল দেয়া হয়ে থাকে। যার ফলে অপরাধীরা পার পেয়ে যায় এবং পরবর্তীতে তারা  প্রশাসন ও সরকার দলীয় দুর্বৃত্তদের সহায়তায় পূনরায় একই অপরাধ কর্ম চালিয়ে যায়।


সারা দেশ |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions