শনিবার | ১৮ মে, ২০২৪

নানিয়াচর উপ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষে গনণা চলছে

প্রকাশঃ ২৫ জুলাই, ২০১৮ ১০:০৫:১০ | আপডেটঃ ১২ মে, ২০২৪ ০৬:৫৪:০১
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে গত বুধবার রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়েছেন ভেটাররা। সকাল ৮টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার চার ইউনিয়নের ১৪ কেন্দ্রে টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সবকটি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের খবর পাওয়া যায়। কয়েক কেন্দ্রে এক প্রার্থী ও তার সমর্থকদের ভোটদানে বাধা দেয়ার অভিযোগ ছাড়া কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
প্রশাসনিক ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, ভোট সম্পূর্ণ সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটাররা অবাধে নিজেদের সমর্থনপুষ্ট প্রার্থীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস জানায়, উপজেলার মোট চার ইউনিয়নে সর্বশেষ তালিকায় ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ৩২ হাজার ৮৫৪। তন্মধ্যে পুরুষ ১৭০০৮ এবং নারী ১৫৮৪৬ জন। সকাল ৮টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১৪ কেন্দ্রে টানা ভোটগ্রহণ শেষে কেন্দ্রে কেন্দ্রে গণনা করা হয়। কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ছিল সাবেক্ষ্যং ইউনিয়নে ৪টি, নানিয়ারচর সদর ইউনিয়নে ৪টি, বুড়িঘাট ইউনিয়নে ৪টি এবং ঘিলাছড়ি ইউনিয়নে ২টি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, নির্বাচনে সম্পূর্ণ সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতি কেন্দ্রে ১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতয়েন ছিল। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ছিল।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং অফিসার সাইদুর রহমান বলেন, শক্তিমান চাকমার মৃত্যুতে নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হওয়ায় উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী। কোনো দলীয় প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেননি।

হাজাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমনী আক্তার বলেন, ভোট সম্পূর্ণ সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল থেকে তার কেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। ভোট দিতে কোনো সমস্যা হয়নি বলে জানান, ঐ কেন্দ্রে ভোট দিতে যাওয়া ভোটাররা।

সকালের দিকে ভোটগ্রহণ শুরুর পরপরই ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের হাজাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ঘিলাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রসহ কয়েকটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোটারদের দীর্ঘসারিতে স্বত:স্ফূর্ত উপস্থিতি। ভোট দিচ্ছেন উৎসবমুখর পরিবেশে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুপুরের দিকে বুড়িঘাট ইউনিয়নের বগাছড়ি পুনর্বাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, নানিয়ারচর সদর ইউনিয়নের নানিয়ারচর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, তৈচাকমা হেডম্যানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও সাবেক্ষ্যং ইউনিয়নের রতœসিংহ কারবারিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রসহ কয়েকটি কেন্দ্রে তার সমর্থিত ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটদানে বাঁধা দেয়া হয়েছে বলে প্রতিপক্ষ আনারস প্রতীকের সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী প্রণতি রঞ্জন খীসা ও তার সমর্থকরা।
অভিযোগ অস্বীকার করে আনারস প্রতীকের প্রার্থী প্রগতি চাকমা বলেছেন, এমন অভিযোগ অবান্তর। ভোট সম্পূর্ণ সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে।
এদিকে প্রতিটি কেন্দ্রে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার, ভিডিপিসহ অতিরিক্ত নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন ছাড়াও নির্বাচনী এলাকায় সড়ক ও নৌপথে র‌্যাব, সেনাবাহিনী, বিজিবিসহ যৌথবাহিনীর পর্যাপ্ত টহল জোরদার ছিল। প্রতি কেন্দ্রে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত ছিলেন। ঐ সময় ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান কোয়ালিটি চাকমা সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
উল্লেখ্য, ৩ মে নিজ কার্যালয়ের সামনে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা। এতে পদটি শূন্য হওয়ায় ১১ জুন উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নানিয়ারচর উপজেলা রিটানিং অফিসার আবদুল লতিফ শেখ। নির্বাচনে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। তারা হলেন- প্রগতি চাকমা (আনারস), প্রণতি রঞ্জন খীসা (কাপ-পিরিচ) ও কল্পনা চাকমা  (দোয়াত-কলম)।

রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions