শনিবার | ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

খাগড়াছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ওপর দূর্বৃত্তের হামলা, আটক ৪

প্রকাশঃ ১৩ জুলাই, ২০১৮ ০৯:৩৪:১৪ | আপডেটঃ ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০১:৩৬:৫৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমা দূূর্বৃত্তের হামলায় গুরুত্বর আহত হয়েছেন। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে তার ওপর হামলা করে দূর্বৃত্তরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমা মোটরসাইকেল যোগে শহরের শাপলা চত্বরের দিকে যাওয়ার পথে ৪-৫ জন যুবক প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে গতিরোধ করে। এসময় দূর্বৃত্তরা ইট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে তাকে অন্য মোটরসাইকেলে তোলার চেষ্টা করে। স্থানীয় জনতা এগিয়ে আসলে দূর্বৃত্তরা তাকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় জনতা ৪ দূর্বৃত্তকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে পুলিশের সহায়তায় খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ সামশুল তাবরীজ আহতাবস্থায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে হাসপাতালে ভর্তি করে। খাগড়াছড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বেলা দেড়টায় কড়া নিরাপত্তায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমার ওপর হামলা খবর পেয়ে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে যান খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী।  
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক ডা: নয়নময় ত্রিপুরা জানান, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হয়েছে। তার মাথায় আঘাত লেগেছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ(ওসি) সাহাদাত হোসেন টিটো বলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ”ঞ্চুমনি চাকমা যেহেতু ইউপিডিএফ সমর্থিত ধারণা করা হচ্ছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজন তার ওপর হামলা করতে পারে। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা ৪ যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ইউপিডিএফ মুখপাত্র নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমার ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও দোষীদের শাস্তি দাবি করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩ মে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা নিহতের পর থেকে নিরাপত্তা জনিত কারণে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ”ঞ্চুমনি চাকমা।    

খাগড়াছড়ি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions