মঙ্গলবার | ১৯ মার্চ, ২০২৪

খালি মাঠে গোল দিয়ে চ্যাম্পিয়ন দুই উপজেলায় আওয়ামীলীগ প্রার্থী !

প্রকাশঃ ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ ০৪:১৮:৩৬ | আপডেটঃ ১৭ মার্চ, ২০২৪ ১০:৫৮:১১
হিমেল চাকমা, বিশেষ প্রতিনিধি, রাঙামাটি। পঞ্চম ধাপে দ্বিতীয় পর্যায়ের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দী কোন চেয়ারম্যান প্রার্থী না থাকায় লংগদু উপজেলায় আওয়ামীলীগ প্রার্থী আব্দুল বারেক সরকার ও  কাপ্তাই উপজেলায় আওয়ামীলীগ প্রার্থী মফিজুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

রাঙামাটি রির্টানিং অফিসার এসএম শফি কামাল বলেন, প্রতিদ্বন্দী কোন চেয়ারম্যান প্রার্থী না থাকায় লংগদুতে আব্দুল বারেক সরকার ও কাপ্তাই উপজেলার মফিজুল ইসলামকে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এগুলোতে চেয়ারম্যান পদে  ভোট গ্রহণ হচ্ছে না।

এ দুজনই এলাকার উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাবেন উল্লেখ করে দলের  প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
লংগদু ও  কাপ্তাই এ দুই উপজেলা বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছিলেন। এরা ছিলেন লংগদুর তোফাজ্জল হোসেন ও কাপ্তাইয়ের দিলদার হোসেন।

কাপ্তাই উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক দিলদার হোসেন দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপি নির্বাচন করছে না। এ সুযোগ আওয়ামীলীগ প্রার্থী বিনা ভোটে বিজয়ী হচ্ছে। বিএনপির প্রার্থী থাকলে এবং সুষ্ঠ নির্বাচন হলে এখানে আওয়ামীলীগের এ সুযোগ হত না। কাপ্তাই আমাদের সমর্থিত লোকজন বেশী।

লংগদু উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নেই। তাই আমরা নির্বাচনে অংশ নিই নি। সুষ্ঠ নির্বাচন হলে লংগদুতে বিএনপির প্রার্থীরা বিজয়ী হবে আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা হবে না। এ ধরণের নির্বাচন আমি ব্যাক্তিগতভাবে প্রত্যাখান করেছি।

তবে রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগ এটিকে খালি মাঠে গোল হিসেবে দেখছে না। দলটি বলছে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী ছিল না। তাঁরা সমঝোতা করে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছে।

জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক রফিক আহমদ তালুকদার বলেন,  এটি খালি মাঠে গোল নয়। দুই উপজেলায় প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী ছিল। তাঁরা নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করার কারণে এ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এটি খালি মাঠে গোল  বলা হলে মানাবে না।
রাঙামাটি বিএনপি সভাপতি শাহ আলম বলেন, এ নির্বাচন নিয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই।

বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় বিজয়ী হওয়া লংগদুর আব্দুল বারেক সরকার বলেন, বর্তমান শেখ হাসিনার প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে অন্য প্রার্থীরা প্রত্যাহার  করায় আমাকে নির্বাচন করতে হল না। আমি পাহাড়ি বাঙালী সবাইকে নিয়ে এ এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করব।

কাপ্তাই উপজেলার মফিজুল আসলাম বলেন, আমি দলের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছি  তাই দল আমাকে সমর্থন দিয়েছে। এজন্য আমি জননেত্রী শেখ হাসিনা ও জননেতা দীপংকর তালুকদারসহ দলের সবার কাছে কৃতজ্ঞা জানাচ্ছি। আমি এ এলাকার উন্নয়ন ও শান্তির জন্য কাজ করে যাব।

বিকল্প চেয়ারম্যান প্রার্থী না থাকায় লংগদু উপজেলায় আওয়ামীলীগ প্রার্থী আব্দুল বারেক সরকার,  কাপ্তাই উপজেলায় আওয়ামীলীগ প্রার্থী মফিজুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

রাঙামাটির ৮ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২০জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩১জন.নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬জন অংশ নিচ্ছেন। রাঙামাটিতে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে ১৮ মার্চ।

পাহাড়ের রাজনীতি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions