সোমবার | ১৩ জানুয়ারী, ২০২৫

বগাচত্বর ইউনিয়নে একটি সেতুর অভাবে বিচ্ছিন্ন ৫ গ্রাম

প্রকাশঃ ৩১ অক্টোবর, ২০২২ ০৩:২৬:৫৭ | আপডেটঃ ১০ জানুয়ারী, ২০২৫ ০৩:৩৮:৩৭

সিএইচটি টুডে ডট কম, লংগদু, (রাঙামাটি)কখনো ইঞ্জিন চালিত বোট, কখনো বা নৌকায় কাপ্তাই হ্রদ পার হয়ে প্রতিদিন যাতয়াত করেন হাজারো মানুষ

 

রাঙামাটির লংগদু উপজেলার ৪নং বগাচতর ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রাম কাপ্তাই হ্রদ বেষ্টিত। ফলে ওই গ্রাম গুলোর হাজারো মানুষকে নৌকা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। ফলে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হয় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা পড়ুয়া দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে গ্রামবাসীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছায়। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি সেতু নিমার্ণের দাবি জানিয়েছেন তারা

 

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ইউনিয়নের মুসলিম ব্লক, অফিসটিলা, ফজলে শিবির, সাদেক শিবির এবং পেট্যাইনামাছড়া গ্রামে প্রায় দুই হাজারের অধিক মানুষ বসবাস করেন। পাঁচ গ্রামের দুই পাড়ে রয়েছে ২টি বাজার, নুরানী মাদ্রাসা, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইউনিয়ন পরিষদসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। কিন্তু গ্রামগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের জন্য কোনো সেতু নেই। যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন নৌপথ অর্থাৎ বোট অথবা নৌকা। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হ্রদ পার হয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসায় যেতে হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। বছর খানেক আগে এই হ্রদে নৌকা ডুবে দুইজন শিক্ষার্থীও মারা গেছে বলে জানা যায়

 

উগলছড়ি মহাজনপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম ৯ম শ্রেণির ছাত্রী শামসুন্নাহার মীম বলেন, ‘আমরা প্রতিদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হয়ে স্কুলে যাই।নৌকায় করে স্কুলে যাতায়াত করতে ভয় লাগে। অনেক অসুবিধাও হয়। একটি সেতু হলে আমরা খুবই উপকৃত হবো।

 

এদিকে ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ দেলোয়ার হোসেন এবং ব্যবসায়ী নাজমুল জানান, ‘মুসলিম ব্লক, অফিসটিলা, ফজলে শিবির, সাদেক শিবির এবং পেট্যাইনামাছড়া এই পাঁচটি গ্রাম হ্রদ বেষ্টিত। ফলে গ্রামগুলো ইউয়নিয়ন সদর থেকে বিচ্ছিন্ন। একটি সেতু না থাকায় এখানকার মানুষদের অত্যন্ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সরকারের কাছে দাবি এই এলাকার মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি সেতু নির্মাণ করে দেন। আরো জানান, হ্রদের ওপারে বাড়ি হওয়ায় প্রতিদিন নৌকা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। একবার নদী পার হতে সময় লাগে প্রায় আধা ঘণ্টা। বিশেষ করে রাতের বেলায় খুব কষ্ট হয়। অনেক সময় ঘাটে নৌকা না পেলে গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হয়।’ 

 

ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবুল বশর বলেন, ‘এই এলাকার শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনই নৌকায় করে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করে। পাঁচটি গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকে নদী পার হয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হয়। একটি সেতু নির্মিত হলে এক গ্রামের মানুষের সাথে অন্য গ্রামের মানুষের এবং সড়ক যোগাযোগ বাড়বে। এলাকার সাধারণ মানুষ খুবই লাভবান হবেন। এলাকাবাসীর যাতায়াতের পথ সুগম করতে পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের কাছে একটি সেতু নিমার্ণের দাবি জানিয়েছি।

 

রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions