বুধবার | ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
খাগড়াছড়ি

দলের বিশৃঙ্খলাকারীদের পরিণতি কখনো ভালো হয়নি: কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি

প্রকাশঃ ১১ অগাস্ট, ২০১৮ ০২:০৩:৫২ | আপডেটঃ ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ০৬:৪০:৫৮
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলাকারীদের পরিণতি কখনো ভালো হয়নি বলে খাগড়াছড়িতে বিগত পৌর নির্বাচনকে ঘিরে চিহ্নিতদের সতর্ক হবার হুশিয়ারি দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী পদ-মর্যাদার শরণার্থী টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। একই সাথে তিনি তাঁদের সময় থাকতে দলের স্বার্থ পরিপন্থী ষড়যন্ত্রের পথ ছেড়ে দলের গঠনতান্ত্রিক কর্মকান্ডে যুক্ত হবারও আহ্বান জানান।

শনিবার সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি টাউন হলের মাঠে জেলা যুবলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় জেলা আওয়ামীলীগের এই সভাপতি জেলা আওয়ামীলীগের বহিষ্কৃত সা: সম্পাদক মো: জাহেদুল আলম, যুগ্ম-সম্পাদক এস এম শফি, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলম-এর নাম উল্লেখ করেই বলেন, বিভ্রান্তির আর অপ-প্রচারকে সম্বল করে নিজে নিজে নেতাগিরি করে কেউ কখনো আওয়ামীলীগের ক্ষতি করতে পারেনি। বরং যাঁরাই নিজেদেরকে দলের চেয়ে বড়ো মনে করেছেন, তাঁদের পরিণতি ভালো হয়নি। কুয়ায় লাফালাফি করলেই সমুদ্রের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায় না।

জেলা আওয়ামীলীগের আরেক নেতা এস এম শফি সম্পর্কে এমপি কুজেন্দ্র বলেন, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সা: সম্পাদকের দায়িত্ব পাবার পর চুপি চুপি রাতে দুইবার দেখা করলেও তিনিও এখন বিভ্রান্ত।
তিনি পৌর মেয়র রফিকুল আলম সম্পর্কে বলেন, তিনি কখনো আওয়ামীলীগ করেন নি। কিন্তু গত পৌর নির্বাচনে তাঁকে ‘নৌকা’ প্রতীক দিয়ে দলের মনোনয়ন অফার করা হয়েছিল।

তাঁর জবাবে তখন রফিক বলেছিলেন, তিনি শেষ বেলার ভাঙা নৌকায় উঠবেন না। বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামীলীগ শব্দগুলোকে ব্যঙ্গ করে বক্তব্য দিয়েছেন। এখন সেই রফিকও নৌকার ভোট চেয়ে বিলবোর্ড আর ব্যানার ঝুলাচ্ছেন।
তিনি (এমপি) পৌর মেয়রের এই প্রবণতাকে সময়ের উপলদ্ধি বলেও ইঙ্গিত করেন।
জেলা যুবলীগের সভাপতি যতন কুমার ত্রিপুরা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের জেষ্ঠ্য সহ-সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরা।

যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসান হেলালের সঞ্চালনায় সম্পন্ন সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি নুরনবী চৌধুরী, সহ-সভাপতি মনির হোসেন খান ও কল্যাণ মিত্র বড়–য়া, ভারপ্রাপ্ত সা: সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক তপন কান্তি দে, আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আজম, জেলা পরিষদ সদস্য জুয়েল ত্রিপুরা, পৌর কাউন্সিলর পরিমল দেবনাথ, জেলা যুবলীগের সা: সম্পাদক কে এম ইসমাইল ও সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, পানছড়ি যুবলীগের সা: সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নরোত্তম বৈষ্ণব এবং সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সা: সম্পাদক ক্রাজাই মারমা।

এদিকে জেলা আওয়ামীলীগের ১নং যুগ্ম-সম্পাদক এস এম শফি এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা’র বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ২০১৭ সালের ২০ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দলের কেন্দ্রীয় বর্ধিত সভায় জেলার ভারপ্রাপ্ত সা: সম্পাদক হিসেবে আমি প্রতিনিধিদ্ব করেছি। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী এরিমধ্যে দলের নিজস্ব স্থায়ী কার্যালয়ের নির্মাণকাজ শেষ করেছি। এবং সে কার্যালয়ে দলের সব কর্মসূচিও পালন করা হচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগ নিয়ে আগামী নির্বাচনেও আসনটি নেত্রীকে উপহার দেয়ার সাংগঠনিক কাজ এগিয়ে চলছে।

তিনি বিগত নির্বাচনে মো: রফিকুল আলমকে দলের মনোনয়ন অফার করা হয়েছিল কি না, সেটি জানেন না বলে মত প্রকাশ করেন।  

খাগড়াছড়ি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions