শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪
রাঙামাটি রিপোটার্স ইউনিটি

বিদায় নিলেন রাজন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সবুজ

প্রকাশঃ ০৪ অগাস্ট, ২০২১ ০৯:২০:৩৯ | আপডেটঃ ২৯ মার্চ, ২০২৪ ০২:৩২:২১
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি প্রেসক্লাবে সদস্য পদ গ্রহণ করায় রাঙামাটি রিপোর্টাস ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক ফজলুর রহমান রাজন ও সদস্য শংকর হোড়কে বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে সংগঠনটি।

আজ বুধবার দুপুরে রাঙামাটি রিপোর্টাস ইউনিটি কার্যালয়ে এক বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। রাঙামাটি রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমার সভাপতিত্বে  এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সভাপতি চৌধুরী হারুনুর রশীদ, কোষাধ্যক্ষ এম, কামালউদ্দিন, জিয়াউর রহমান জুয়েল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক হেফাজত উল বারি সবুজ।

অনুষ্ঠানে বিদায়ী সদস্য ফজলুর রহমান রাজন ও শংকর হোড় সহকর্মীদের প্রতি সহমর্মিতা ও হৃদ্যতার অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানের বক্তারা নিজেদের আবেঘ অনুভুতির কথা তোলেন, এসময় অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন বিদায়ী সাধারন সম্পাদক ফজলুর রহমান রাজন।

এসময় তিনি বলেন, ২০০০ সনে সমমনা কয়েকজন মিলে রাঙামাটির অন্যতম সাংবাদিক সংগঠন “রাঙামাটি রিপোর্টাস ইউনিটি” গঠন করি। নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে সংগঠনটি ২১ বছরের অধিক সময় পার করছে, এরমধ্যে গণমাধ্যম কর্মীদের অনেক সংগঠন হয়েছে আবার বিলুপ্তও হয়ে গেছে। কিন্তু স্বমহিমায় এখনো দাঁড়িয়ে আছে রিপোর্টাস ইউনিটি।

মুলত: রাঙামাটি প্রেসক্লাব সদস্য র্অন্তভুক্তি না করার কারণে এসব সংগঠনের জন্ম হয়েছিলো। ইতিমধ্যে রাঙামাটি প্রেসক্লাব সদস্য অর্ন্তভুক্তি শুরু করেছে। এরমধ্যে আমাকেও সদস্যপদ দেয়া হয়েছে। রাঙামাটি প্রেসক্লাবে সদস্য পদ গ্রহণের কারণে আজ প্রিয় সংগঠন থেকে পদত্যাগ করতে হচ্ছে।  কিন্তু সব সময় মিস করব এই সংগঠনের সহযোদ্ধা সহকর্মীদের। সংগঠন করা সহজ কিন্তু টিকিয়ে রাখা কঠিন। গত ২০/২১ বছরের মধ্যে অন্তত ১৬ বছর (২বার বাদে) সংগঠনটির সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি, এটা সম্ভব হয়েছে সহকর্মীদের ভালোবাসার কারণে। চেষ্টা করেছি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের, ব্যর্থতাও রয়েছে এতবছরেও একটা জায়গার ব্যবস্থা কিংবা ভবন করতে পারেনি।

এসময় ফজলুর রহমান রাজন রাঙামাটি প্রেসক্লাবে তাকে সদস্য হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করায় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল ও সাধারন সম্পাদকসহ প্রেসক্লাবের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আশা প্রকাশ করে বলেন, রাঙামাটি প্রেসক্লাব নতুন করে সদস্য নেয়ার যে প্রক্রিয়া শুরু করেছে সেটি অব্যাহত থাকবে এবং এতে সিনিয়র ও মুলধারার গণমাধ্যম কর্মীরা স্থান পাবে।

সভাপতির বক্তব্যে রাঙামাটির সাংবাদিকদের মধ্যে কোনো রকম বিভেদ বা দ্বন্ধ কাম্য নয় উল্লেখ করে সুশীল প্রসাদ চাকমা বলেন, অতীতে নিজেদের মধ্যে যদি কোনো রকম ভুল বোঝাবুঝি হলে তার সবকিছু ভুলে আবার দৃঢ় ঐক্যশক্তি গঠন করে সবার মনে সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। পরিবারের মধ্যে অনেক ঝগড়াঝাটি হয় কিন্তু সেগুলো মান অভিমান আর অনুরাগের- যা কখনও মনকে বিভেদ করতে পারে না। পারিবারিক বা সামাজিক শক্তি দৃঢ় রাখতে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। তাই নিজেদের ভেতর ঐক্যশক্তি সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে রাঙামাটির সংবাদকর্মী সবার প্রতি আন্তরিকপূর্ণ ও সহমর্মিতার মনোভাব এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

পরে ‘রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটি’ হতে পদত্যাগ করা দুই সদস্যকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় সংবর্ধনা ও স্মারক সম্মাননা প্রদান করে সংগঠনটির কর্মকর্তা ও সদস্যরা। এ সময় বিদায়ী দুই সহকর্মীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তারা।




শেষে রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি বরাবরে লিখিত পদত্যাগপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন ফজলুর রহমান রাজন। এ সময় সংগঠনটির যুগ্ম সম্পাদক হেফাজত-উল বারী সবুজকে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত: রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ফজলুর রহমান রাজন এবছরের জুলাই মাসে এর আগে জানুয়ারির দিকে রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সদস্য হয়েছেন শংকর হোড়।


এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions