শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪

জুরাছড়িতে আশ্রয়ন প্রকল্প পরির্দশনে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক

প্রকাশঃ ৩১ জুলাই, ২০২১ ০৭:৫৮:০২ | আপডেটঃ ২৮ মার্চ, ২০২৪ ১১:৫৪:১৯
সিএইচটি টুডে ডট কম, জুরাছড়ি (রাঙামাটি)। জুরাছড়ি উপজেলায় মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার আশ্রয়ন প্রকল্প-২ পরির্দশন করেছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

সকালে বনযোগীছড়া ইউনিয়নে ৫টি ও জুরাছড়ি ইউনিয়নের ৫টি ঘর পরির্দশন ও সুবিধা ভোগীদের সাথে কথা বলেন তিনি।

পরির্দশন কালে উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মামুন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা উপমা জুরাছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিতেন্দ্র কুমার নাথ, থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিউল আজম, বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা, জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমা, রির্সোস সেন্টারের ইন্সেট্রাক্টর মোঃমরশেদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বনযাগীছড়া ইউনিয়নর নমিতা চাকমা জেলা প্রশাসকে জানান, তার স্বামী বহু বছর আগই ফেলে চলে গেছেন। কোন খোঁজ-খবর রাখেনা। তার   কোন ঘর-বাড়ি নেই। অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোন রকমে সংসার চলে তার। প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয় ঘর পেয়ে তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। সারা জীবন সংসারে শ্রম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। পাকাবাড়ী বানানাের চিন্তা কোনদিন করেননি। তাই বিনামূল্য জমি ও সেমিপাকা রঙ্গিন টিনসেড ঘর পেয়ে তিনি খুবই খুশি।

শুধু নমিতা চাকমাই নয়, জুরাছড়ি ইউনিয়নর মধ্য বালুখালী গ্রামর শারিরীক প্রতিবন্ধি লক্ষিদ্র চাকমা। ছোট্ট ভাঙ্গা কুটির বসবাস তার। একটু বৃষ্টি হলেই ভিজে যায় পুরাে ঘরের ভিতর। মাছ শিকার করে কোন রকমে সংসার চলে তার। নেই কোন খন্ড জমি-জমা। অভাবের সংসার কোন দিন সমিপাকা ঘর বানানাের চিন্তা করেনি সেও। বিনামূল্য জমি ও সেমিপাকা রঙ্গিন টিনসেড ঘর পেয়ে তিনিও খুবই খুশি। সুন্দর ঘর পেয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। শুধুই নমিতা চাকমা কিংবা প্রতিবন্ধী লক্ষিদ্র চাকমা নয়, জুরাছড়ি ইউনিয়নের ডেবাছড়া গ্রামের স্বামী পরিত্যক্ত প্রমাঞ্জলী চাকমা, কুসুমছড়ির বিধবা মনিষা চাকমা, ঘিলাতলীর হত দরিদ্র দিনমজুর ভাগ্য কুমার চাকমা, একই গ্রামের হত দরিদ্র দিনমজুর সূধন্য চাকমা মুজিব বর্ষের প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেয়েছে।

বনযাগীছড়া ইউনিয়নের হতদরিদ্র দিনমজুর শেফালী চাকমা,কাংরাছড়ির পুরেন্দ্র চাকমা, ধনেশ্বর চাকমা, ডেবাছড়ার ইন্দ্র নাথ চাকমা। তারা সবাই নতুন ঘর উঠেছে। সৌর আলোয় রাতে জলমল করে এসব ঘর। সৌর আলোয় নির্বিঘ্নে পড়াশোনা করছে তাদের ছেলে মেয়েরা। আবার ঘরের মেয়েরা রাতের অবসর সময় অনেকেই কমড় তাঁত বুনন করছে।

উল্লেখ্য ভুমিনহীনদের ২ শতক জমিসহ ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা ব্যয় দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা রঙিন টিনসেডর ঘর নির্মান করা হয়। আশ্রয়ন প্রকল্প-২ আওয়াতায় ১৭ লক্ষ ১০ হাজার টাকা ব্যয়ে ১০টি ঘর নির্মান করা হয়।

জেলা প্রশাসক আশ্রয়ন প্রকল্প-২ পরির্দশন শেষে থানা ও জুরাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ পরির্দশন করেন তিনি।

এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions