শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪

ম্যাজিষ্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে মারধর, যৌতুক দাবীসহ হত্যার চেষ্টার অভিযোগ

প্রকাশঃ ০১ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৫:৫৪:০৩ | আপডেটঃ ২৮ মার্চ, ২০২৪ ১২:০৪:০২
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। কুড়িগ্রামের আলোচিত নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে মারধর, যৌতুক দাবীসহ হত্যার চেষ্টার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্ত্রী চন্দ্রিকা চাকমা।

আজ মঙ্গলবার সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন তিনি এ  এ সময় তার এক মাত্র কণ্যা সন্তান তোপজ্যোতি চাকমা তার সাথে ছিলেন।

চন্দ্রিকা চাকমা  অভিযোগ করেন,যে নিজের স্ত্রী সন্তানের সাথে নুন্যতম ন্যায় বিচার করতে পারেন না,তিনি কিভাবে দেশের মানুষের সাথে ন্যায় বিচার করবেন।

স্বামী রিন্টু বিকাশ চাকমা কর্তৃক নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্ত্রী চন্দ্রিকা চাকমা জানান, ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার আমতলীপাড়া গ্রামের অক্ষয়মণি চাকমার ছেলে রিন্টু বিকাশ চাকমার সঙ্গে চন্দ্রিকা চাকমার প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে বিয়ে হয়।

বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে যৌতুক দাবি করে রিন্টু চাকমা।  মৃত বাবার সম্পত্তি বিক্রি করে তার হাতে তুলে দেয়ার জন্য শরীরে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারারও চেষ্টা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে চন্দ্রিকা চাকমা সুষ্ঠ বিচার ও নিজের ও সন্তানের শতভাগ নিরাপত্তা ও স্ত্রীর পূর্ণ মর্যাদার সাথে রিন্টু বিকাশের সংসার করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবী করেন।

চন্দ্রিকা চাকমা গত ১৫ অক্টোবর ২০২০ তারিখে খাগড়াছড়ি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্টাইব্যুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০২০ ইং (সংশোধিত ২০০৩ ইং) এর ১১ (গ) ধারায় একটি মামলা দায়ের করে। মঙ্গলবার (১লা ডিসেম্বর )২০২০ মামলার শুনানির কথা থাকলেও অত্যন্ত গোপনে ধার্য তারিখের আগে অত্যন্ত গোপনে মোটা অংকের অর্থ লেনদেনের মধ্যে জামিন নিয়ে তার জীবন নাশের হুমকী দিচ্ছেন।

উল্লেখ্য যে, রিন্টু বিকাশ চাকমা ২০১৭ সালে ৩৫ তম বিসিএস (প্রশাসন) এ উত্তীর্ণ হয়ে কুড়িগ্রামে কর্মরত থাকাকালে আলোচিত সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ন্যস্ত রয়েছেন। বর্তমানে রিন্টু বিকাশ চাকমার ৬ বছরের একটি কণ্যা সন্তানও রয়েছে।


খাগড়াছড়ি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions