শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪

খাগড়াছড়িতে পরিবহনের জ্বালানী হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এলপিজি

প্রকাশঃ ২১ অক্টোবর, ২০২০ ০৩:৩৯:৪৬ | আপডেটঃ ২৯ মার্চ, ২০২৪ ০২:৫৭:৫৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। রান্নার কাজে ব্যবহৃত এলপিজি সিলিন্ডার দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে খাগড়াছড়িতে পরিবহনের জ্বালানীতে রূপান্তর করা হচ্ছে। জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জনবসতির মধ্যে চলছে এমন কার্যক্রম। স্থানীয় প্রশাসন এসব কার্যক্রম সর্ম্পকে জানলেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ জনপ্রতিনিধি ও স্থানীদের।

সরজমিনে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের রসুলপুর, মাটিরাঙ্গা-তবলছড়ি সড়কের চৌধুরী পাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রান্নার কাজে ব্যবহৃত এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে দেশীয় প্রযুক্তির চাপ যন্ত্র ব্যবহার করে গ্যাস বের করে আনা হচ্ছে। মাটিরাঙ্গা ও গুইমারা উপজেলা থেকে প্রতিদিন শত শত থ্রী হুইলার (সিএনজি) এসব অবৈধ ফিলিং স্টেশন থেকে এলপিজি জ¦ালানী নিচ্ছে। কোন প্রকার নিরাপত্তা বলয় ছাড়া দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিবহনে গ্যাস দেয়া হচ্ছে। এতে করে যেকোন সময় বিস্ফোরণ হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে স্থানীয়রা।

মাটিরাঙ্গার রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. ইসমাইল ও এরশাদ আলী জানান, বিগত কয়েক বছর ধরে মাটিরাঙ্গা বাজারে গ্যাস পাম্প মেশিন বসায় ব্যবসায়ী খায়েরুজ্জামান বিটু। জানাজানি হওয়ার পর কয়েক মাস ধরে মাটিরাঙ্গা বাজার থেকে সরিয়ে গ্রামের মধ্যে নিয়ে আসে। চারপাশে বসতবাড়ি, মসজিদ ও খামার রয়েছে। যেকোন মুহুর্তেই বড়ধরণের দুর্ঘটনায় ভয়ে থাকি।

তবলছড়ি বাজারের মো. জাফর নামে আরেকজন জানান, রাতের আধারে শতশত সিএনজি অটোরিক্সা তবলছড়ি বাজারের দু’টি স্থান থেকে গ্যাস নিতে আসে। বাজারের পাশে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, তারপরও এ রকম অবৈধ কর্মকা- চলছে।

মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র শামছুল হক জানান, উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় এ ব্যাপারে একাধিকবার কথা বলেছি। তারপরও কীভাবে অবৈধ ভাবে মাটিরাঙ্গার ৪ টি স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে এসব কারবার চলে তা আমি বুঝি না। রাজনৈতিক ইন্ধন ও কর্তৃপক্ষকে হাত করে এমন কাজ চলছে বলেও জনমুখে শুনেছি।

চৌধুরীপাড়াস্থ অবৈধ গ্যাস পাম্পের মালিক ও তবলছড়ি ইউনিয়নের সদস্য আসাদুজ্জামান বকুল জানান, এলপিজি পাম্প স্থাপনের জন্য লাইসেন্স করতে আবেদন করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির জন্য লাইসেন্স দেয়া হয়নি। স্থানীয় চালক ও মালিকরা অনুরোধ করায় পাম্প করার জন্য কেনা যন্ত্রপাতি দিয়ে সেবা দিচ্ছি।

তবে মাটিরাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা আশিকুর রহমান জানান, জ¦ালানী তেল বা গ্যাস পাম্প করতে ফায়ার সেফটির যে ছাড়পত্র নিতে হয় তা কেউ গ্রহণ করেনি।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ^াস জানান, অনুমতি ছাড়া এলপিজি সিলিন্ডার বিপনণ নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কেউ যদি আইনের ব্যত্যয় ঘটায় তবে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী খাগড়াছড়ি সদরের খবংপুড়িয়া এলাকার একটি গুদামে এক এলপিজি সিলিন্ডার থেকে অন্যটিতে গ্যাস নেয়ার সময় বিস্ফোরণ ঘটে ৭ জন দগ্ধ হয়। তাদের মধ্যে ৩ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

খাগড়াছড়ি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions