শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪

বান্দরবানে এবার ৩০টি পূজামন্ডপে দুর্গোৎসব ,স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সংশ্লিষ্টদের আহবান

প্রকাশঃ ১৯ অক্টোবর, ২০২০ ১২:৩১:০৬ | আপডেটঃ ২৯ মার্চ, ২০২৪ ০৫:৫৫:৪২
কৌশিক দাশ, সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। আর কদিন বাদেই সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা,আর এই পূজাকে ঘিরে সনাতনী সমাজে বইছে আনন্দের বন্যা।

প্রতিবছরই বর্ণাঢ্য আয়োজনে সারাদেশের মত বান্দরবানে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনের প্রস্তুুতি নেয়া হলে ও  এবারে বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে শুধুমাত্র পূজা ছাড়া সকল অনুষ্ঠানমালা না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বান্দরবান কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদ এর নেতৃবৃন্দরা।

বান্দরবান কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ দাশ শেখর জানান, প্রতিবারের মত ব্যাঁপক আয়োজনে এবারে বান্দরবানে দুর্গাপূজা উদযাপন করা হবে না। করোনা পরিস্থিতিতে বান্দরবানের প্রতিটি মন্ডপে প্রবেশ এবং বের হওয়ার জন্য আলাদা গেইটের ব্যবস্থা করার  চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রতিটি গেইটে হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা থাকবে এবং পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে যারা পূজায় আগত পূজারীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ও আইনশৃংখলা রক্ষায় কাজ করবে।
 
বান্দরবান কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লক্ষীপদ দাশ জানান, করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে এবার বান্দরবানে দুর্গাপূজার আয়োজন সীমিত আকারে করা হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব এবার ধর্মীয় রীতি পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। বান্দরবান কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লক্ষীপদ দাশ আরো জানান,পূজায় আগত সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে এবং নির্দিষ্ট সময় নিয়ে প্রতিমা দর্শন শেষে নিজ নিজ গন্তবে ফিরে গেলে আমাদের সকলের এই পূজা উদযাপনে অনেকটাই সহজ হবে। পূজামন্ডপে অহেতুক ভীড় না করা এবং মাক্স ছাড়া পূজামন্ডপে না আসার ও আহবান জানান তিনি। লক্ষীপদ দাশ আরো জানান, পূজামণ্ডপে প্রবেশের সময় করোনার প্রেক্ষাপটে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। হাত ধোয়া ও স্যানিটাইজার, মাস্ক বাধ্যতামূলক ব্যবহার করতে হবে। তিনি আরো বলেন, দশমীর দিনে প্রতিমা বিসর্জনের সময় কোনও শোভাযাত্রা করা হবে না এবং বিকেল ৫টার মধ্যে সকল পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হবে।

এবছর বান্দরবান জেলায় ৩০টি পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব,এর মধ্যে বান্দরবান সদরে ১০টি ,লামা উপজেলায় ৮টি ,আলীকদম উপজেলায় ৫টি,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৩টি,রুমা উপজেলায় ১টি,রোয়াংছড়ি উপজেলায় ১টি,থানচি উপজেলায় ২টি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে শেষ মুহূর্তে  বিভিন্ন মন্দিরে দূর্গা প্রতিমাগুলোকে রাঙাতে শিল্পীরা ছুটে যাচ্ছেন এক মন্ডপ থেকে অন্য মন্ডপে। বান্দরবানের প্রতিটি পূজা মন্ডপেই এখন শেষ সময়ের ব্যস্ততা ; চলছে সাজানো-গোছানোর কাজ।

এদিকে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন,আসন্ন দূর্গাপূজা সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে উদযাপনের জন্য আমাদের পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আমরা বান্দরবান সদরের প্রতিটি পূজামন্ডপে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবো এবং দশমীর দিনে প্রতিমা বিসর্জন সুষ্টভাবে সম্পন্ন করা পর্যন্ত পুলিশের সদস্যদের দায়িত্বে থাকবে।  

বান্দরবান কেন্দ্রীয় দূর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের তথ্যে জানা যায়,আগামী ২২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) ৬ষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এরপরে যথারীতি ২৩ অক্টোবর (শুক্রবার) মহাসপ্তমী , ২৪ অক্টোবর (শনিবার) মহাঅষ্টমী,২৫ অক্টোবর (রবিবার) মহানবমী এবং ২৬ অক্টোবর (সোমবার) বিজয়া দশমী অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর দেবীর আগমন ঘটবে দোলায় চড়ে এবং গজে গমন হবে।

বান্দরবান |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions