শনিবার | ২০ এপ্রিল, ২০২৪

ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি করোনার স্বাস্থ্য বার্তা পৌছে দিচ্ছেন এক স্বাস্থ্য কর্মী

প্রকাশঃ ১০ এপ্রিল, ২০২০ ০৮:১৪:৫০ | আপডেটঃ ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১০:০৩:১০
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। করোনার  ভাইরাসে সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার বিভিন্ন  এলাকায় কর্মহীন হতদরিদ্রদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছেন। তবে খাগড়াছড়ির জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের অভিযোগ দুর্গম এলাকায় পৌচ্ছাছে না  ত্রাণ সহায়তা । এমনকি করোনার সচেতনতার স্বাস্থ্য বার্তাও সেখানে পৌচ্ছাছে না।

এসব দুর্গম এলাকার মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা পৌছে দিচ্ছেন খাগড়াছড়ির এক স্বাস্থ্য কর্মী।  সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ত্রাণ দিচ্ছেন তিনি। একই সাথে করোনা ও হাম রোগ নিয়েও সচেতনতা তৈরি করছে খাগড়াছড়ি মা ও শিশু কল্যাণ কের্ন্দের স্বাস্থ্য পরিদর্শিকা শাহনাজ সুলতানা।  ইতোমধ্যে পানছড়ির সাওতাল পল্লী,মহালছড়ি ,দীঘিনালা,মাটিরাঙার দুর্গম এলাকাগুলোতে ত্রাণ পৌছে  দিয়েছেন। সর্ম্পূন ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেওয়া ত্রাণ কার্যক্রমে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে সহায়তায় করছে কিছু তরুণ। শুক্রবার সকালে জেলার দীঘিনালা উপজেলার  মিলন কার্বারী পাড়া এলাকায় ৫০ ত্রিপুরা পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সহায়তা দেন তিনি।

স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য হথেন্দ্র ত্রিপুরা জানান ,‘ উপজেলা সদর থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে এই পাড়া। অন্তত ৫০ পরিবারের বাস এখানে।  সরকারি -বেসরকারি কোন ত্রাণ পায়নি স্থানীয়রা। ত্রিপুরা অধ্যুষিত এই পাড়ার শাহনাজ সুলতানা নামে একজন স্বাস্থ্য কর্মী ৫০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। ’ এসময় তিনি দুর্গম  এলাকায় ত্রাণ পৌছে দেওয়ার আহ্বান জানান।

সামাজিক দুরত্ব ত্রাণ সহায়তা পৌছাতে কাজ করছে স্থানীয় ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরামের কয়েকজন কর্মী। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হৃদয় ত্রিপুরা জানান ,‘ আমরা ত্রাণ সহায়তা পৌছে দেওয়ার  জন্য বিভিন্ন পাড়ায় যাচ্ছি। মূলত দুর্গম এলাকার মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা পৌচ্ছে দেওয়া হচ্ছে। এর আগে আমরা মাটিরাঙা অযোধ্যা,বেলছড়িসহ বিভিন্ন ত্রিপুরা এলাকায় ত্রাণ পৌছে দেওয়া হচ্ছে। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে শাহনাজ দিদি ত্রাণের পাশাপাশি করোনা সচেতনার জন্য স্বাস্থ্য বার্তা দিয়ে প্রচারপত্রও বিলি করছে।  এতে কিছু মানুষ হলেও সচেতনা হচ্ছে। ’

খাগড়াছড়ির উন্নয়ন কর্মী শাপলা ত্রিপুরা জানান,‘ শাহনাজ আপা একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। একজন সরকারি কর্মচারী হয়েও তিনি মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে। পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রান্তিক মানুষগুলো কিছুটা হলেও সহায়তা পাচ্ছে। তবে এসব এলাকায় ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি স্থানীয়দের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি করছে তিনি। সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে মানুষ এমন উদ্যোগ নিলে অনেক মানুষের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌছাবে।
 


দুর্গম এলাকায় ত্রাণ ও স্বাস্থ্য বার্তা পৌছে দেওয়ার উদ্যোক্ততা স্বাস্থ্য কর্মী শাহনাজ সুলতানা জানান ,‘ এখানো সরকারি সহায়তা দুর্গম এলাকায় পৌছে নাই। এখানকার মানুষের এখন প্রায় কর্মহীন।  গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় এসব এলাকার মানুষ বাজারেও যেতে পারছে না। তাই আমি দুর্গম এলাকায় ত্রাণ পৌছানোর চেষ্টা করছি। পানছড়ির কুড়াদিয়া ছড়া,সাওতাল পল্লী,চংড়াছড়ি,মহালছড়ি,দীঘিনালার দুর্গম এলাকায় ত্রাণ পৌছে দিচ্ছে। এর ব্যয় সর্ম্পূণ পারিবারিকভাবে বহন করছি। স্থানীয় তরুণরা আমাকে সহায়তা করছে। অন্তত  দুর্গম এলাকায় কয়েক হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিব। এছাড়া দুর্গম এলাকার মানুষের মাঝে সচেতনতাও কম তাদের মধ্যে  করোনার সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিলি করছি । একই সাথে স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি করার জন্য ক্যাম্পেইনও করছি। ’

 

খাগড়াছড়ি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions