শনিবার | ২০ এপ্রিল, ২০২৪

বান্দরবানে রাজপূণ্যাহ হবে জানুয়ারি মাসে

প্রকাশঃ ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০১:০৫:০৪ | আপডেটঃ ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০৯:১২:০৪
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। বান্দরবান পার্বত্য জেলার রাজকর আদায়ের উৎসব ১৪১তম রাজপূণ্যাহ মেলা এ বছর ডিসেম্বরে হচ্ছে না। আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ায় নতুন বছরের জানুয়ারি মাসে হতে পারে বলে জানিয়েছেন বোমাং রাজা উ চ প্রু চৌধুরীর সহকারী অং জাই কেয়াং ।

বোমাং রাজ পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবান শহরের স্থানীয় রাজার মাঠে প্রতিবছর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে তিন বা পাঁচদিন ব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এসময় দিনব্যাপী রাজা তার প্রজাদের থেকে রাজকর বা খাজনা আদায় করে থাকেন। খাজনা আদায়ের প্রথমদিনের এই মেলায় উপস্থিত থাকেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তবে ডিসেম্বর মাসে এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন থাকায় মেলাকে ঘিরে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এ বছরের ডিসেম্বরে মেলার আয়োজন করবেন না বলে রাজ পরিবার সিদ্ধান্ত নেন। শত বছরের পুরনো এই মেলার আনুষ্ঠানিকতা দেখতে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ তিন পার্বত্য জেলাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন। বিদেশি পর্যটকের দেখা মেলে এই মেলায়। প্রতিবছর মেলাকে ঘিরে জেলার ১১টি আদিবাসী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যমন্ডিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বান্দরবান হেডম্যান কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বৃটিশ শাসন আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি এই তিন জেলাকে তিনটি সার্কেলে বিভক্ত করে খাজনা আদায় করা হতো। ১৮৬৬ সাল পর্যন্ত চাকমা রাজা পার্বত্য এলাকা শাসন করতো। ১৮৬৭ সালে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ অঞ্চলের মারমা অধ্যুষিত এলাকাকে বোমাং সার্কেল, ১৮৭০ সালে রামগড় ও মাইনি উপত্যকার এলাকাকে নিয়ে মং সার্কেল গঠিত হয়। আরও জানা যায়, বর্তমানে রাঙ্গামাটিকে চাকমা সার্কেল, বান্দরবানকে বোমাং সার্কেল এবং খাগড়াছড়িকে মং সার্কেল হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রায় ১৭৬৪ বর্গমাইল এলাকার বান্দরবানের ৯৫টি, রাঙামাটির রাজস্থলি ও কাপ্তাই উপজেলার ১৪টি মৌজা নিয়ে বান্দরবান বোমাং সার্কেল। দুইশ বছরের ঐতিহ্য অনুসারে বছরে একবার এই মেলা আয়োজন করা হয় ।

বান্দরবান |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions