মঙ্গলবার | ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
খাগড়াছড়িতে এমএম লারমার ৩৫তম স্মরণ বার্ষিকীর সভায় জেএসএস নেতারা

রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে আইন করে ইউপিডিএফ-একে নিষিদ্ধের দাবী

প্রকাশঃ ১০ নভেম্বর, ২০১৮ ০১:১১:০৩ | আপডেটঃ ২০ এপ্রিল, ২০২৪ ০২:৪৮:৩০
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে স্বোচ্চার হওয়ার আহবান জানিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহী ইউপিডিএফকে আইন করে নিষিদ্ধ করার দাবী জানিয়েছে এমএম লারমা সমর্থিত জেএসএস নেতাকর্মীরা। জুম্ম জাতিকে নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের ভিন্ন নামে পরিচিতি ঘোষণারও আহবান জানানো হয় স্মরণসভা থেকে।

পার্বত্য জনসংহতি সমিতি জেএসএস এমএন লারমা সমর্থিত নেতাকর্মীরা শনিবার সকালে প্রিয় নেতার স্মৃতি ভাস্কর্য্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে মহাজনপাড়াস্থ জেএসএস (এমএন লারমা সমর্থিক) দলীয় কার্যালয়ে স্মরণ সভা থেকে এসব দাবী তুলেন।

এতে নেতৃবৃন্দ বলেন, দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর পার্বত্য চুক্তি হলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। চুক্তি বাস্তবায়নে সকলকে আরো আন্তরিক হওয়ার দাবী জানিয়ে বক্তরা এমএন লারমার স্মৃতিচারণ করে পাহাড়ের বিভিন্ন সময়ে এমএন লারমার অবদানের কথা তুলে ধরেন।  
সে সাথে বাংলাদেশের সংবিধানে পার্বত্য জেলায় বসবাসকারী নৃ-গোষ্ঠির অধিকার বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে নিরাপত্তাসহ মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের দাবী জানানো হয়।
শনিবার সকালে খাগড়াছড়ি মহাজন পাড়া দলীয় কার্যালয়ে ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রভাত ফেরী শেষে ফুল দিয়ে (জেএসএস) এমএম লারমার স্মৃতি ভাস্কর্য্যে শ্রদ্ধা ও স্মরণসভায় নেতাকর্মীরা এসব কথা বলেন।
তুষার চাকমার সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন,পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) লারমা সমর্থিত কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রফুল্ল কুমার চাকমা।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেএসএস এমএন লারমা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক বিষয়ক বিভু রঞ্জন চাকমা, কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা, শরণার্থী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক সন্তোষিত চাকমা বকুল, স্থানীয় মুরুব্বি রবি শঙ্কর তালুকদার, কেন্দ্রীয় যুব সমিতির সংগঠনিক সম্পাদক দীপু চাকমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সুমেধ চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা জেএসএস সভাপতি আরাধ্যা পাল খীসা এবং সাধারণ সম্পাদক সিন্ধু কুমার চাকমা।

স্মরণ সভা শেষে মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বিকেলে এমএন লারমার আত্মার শান্তি কামনা ও স্মরণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ফানুস উড়ানোর কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মহাজনপাড়ায় স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। স্মরণ সভার শুরুতে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমাসহ সশস্ত্র সংগ্রামে নিহতদের স্মরণে একমিনিট নীরবতা পালন ও শোক প্রস্তাব পাঠ করা হয়। এর আগে একটি মৌন প্রভাতফেরি শহরের গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মহাজনপাড়ায় এসে মিলিত হয়।

১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়ির একটি গোপন আস্তানায় নিজের প্রতিষ্ঠিত শান্তি বাহিনীর বিপদগামী কিছু সদস্যের হাতে খুন হন মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা।

খাগড়াছড়ি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions