হতাশা আর আনন্দ র্যালীর মাধ্যমে পার্বত্য চুক্তির ২৬ বছর পুর্তি পালন
প্রকাশঃ ০২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০৮:১৭:০৩
| আপডেটঃ ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৩:৪১:০৮
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সইয়ের ২৬ বছরে এসে পূর্ণ বাস্তবায়ন নিয়ে ‘হতাশা’ প্রকাশ করেছে সরকারের সঙ্গে চুক্তি সাক্ষরকারী রাজনৈতিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৬ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘গণসমাবেশে’ চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন দলটির নেতারা। অন্যথায় আন্দোলন, লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে চুক্তি বাস্তবায়ন করা হবে ‘হুঁশিয়ারি’ দিয়েছে জেএসএস।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে রাঙামাটি জেলা শহরের কুমার সুমিত রায় জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণে গণসমাবেশ করেছে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) রাঙামাটি জেলা কমিটি। ‘জুম্ম জাতীয় ঐক্য ও সংহতি দৃঢ় করুন; সকল প্রকার ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে বৃহত্তর আন্দোলন জোরদার করুন’- এই ¯েøাগানে অনুষ্ঠিত সমাবেশ প্রধান অতিথি ছিলেন- জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক জলিমং মারমা।
জনসংহতি সমিতি রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি গঙ্গা মানিক চাকমার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক, জনসংহতি সমিতির সমিতির সহ-ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক জুয়েল চাকমা, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শিশির চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতি রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুমিত্র চাকমা এবং হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শান্তি দেবী তঞ্চঙ্গ্যা প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকারের দায়িত্ব চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা। চুক্তি সাক্ষরের পর ২৬ বছর পার হলেও চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়ায় পাহাড়ে নানা ধরনের সংকট তৈরি হচ্ছে। পাহাড়ি জনগোষ্টির ওপর সকল নিপীড়ণ বন্ধের পাশাপাশি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন করে পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান।
এদিকে, সকাল ৯টায় জেলা শহরের কল্যাণপুর থেকে রাঙামাটি ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত পার্বত্য চুক্তির ২৬ বছর উদযাপন উপলক্ষে ‘শান্তি র্যালি’ করে সেনাবাহিনী রাঙামাটি রিজিয়ন ও সদর জোন। এরপর বেলা ১১টায় কাপ্তাই হ্রদে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
নৌকা বাইচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রাঙামটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রæ চৌধুরী’র সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। এসময় উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি রিজিয়নের ভারপ্রাপ্ত রিজিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল এরশাদ হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ) মারুফ আহম্মেদ।
অন্যদিকে, বিকেল ৩টায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে পৌরসভা চত্বর পর্যন্ত ‘আনন্দ র্যালি’ ও আলোচনা সভা করে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। র্যালিতে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী দীপংকর তালুকদার এমপি।