প্রশাসনের টানা অভিযানে কাউখালীর ১৫টি ইটভাটা বন্ধ, প্রায় ১৪ লাখ টাকা জরিমানা বান্দরবানের লামায় দেশীয় বন্দুকসহ এক যুবক আটক কাউখালীতে তারুণ্যের উৎসব এর বিভিন্ন ইভেন্টের ফাইনাল খেলার পুরুষ্কার বিতরণ প্রশাসনের কর্মকান্ডে গতিশীলতা করতে গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা অপরিসীম : জেলা প্রশাসক স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে পিসিসিপি'র বিক্ষোভ
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রামের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম তীর্থস্থানখ্যাত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রাঙামাটির রাজবন বিহারে আগামী ৩-৪ নভেম্বর ৪৯তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
রাজবন বিহার উপাসক-উপাসিকা কার্যনির্বাহী পরিষদ সূত্র জানিয়েছে, আগামী ৩ থেকে ৪ নভেম্বর (বৃহস্পতি ও শুক্রবার) দুদিন ব্যাপী কঠিন চীবর দান উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। ৩ নভেম্বর দুপুরে বেইন কর্মীদের পঞ্চশীল গ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে প্রথম দিনের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান। বিকাল ৩টায় করা হবে বেইন ঘর উদ্বোধন। এরপর সুতা লাঙানো, রঙ করা, রাতভর বেইনবুনাসহ প্রথমদিনের অন্যান্য ধর্মীয় কাজ করা হবে।
দ্বিতীয় দিন (৪ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে শুরু হবে কঠিন দান অনুষ্ঠানের শেষ দিনের আনুষ্ঠানিকতা। দুপুরে চীবর উৎসর্গ, কল্পতরু শোভাযাত্রা ও ভান্তেদের (ধর্মীয় গুরু) ধর্মীয় দেশনাসহ দানাবিধ দান অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, রাজবন বিহারের এবারের কঠিন চীবর দান উদযাপন উপলক্ষে সোমবার (১৭ অক্টোবর) রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে প্রস্তুতিমূলক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা পরিষদের এনেক্স ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সভাপতিত্ব রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী।
সভায় রাজবন বিহার উপাসক-উপাসিকা কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্য ছাড়াও জেলার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বিগত বছরের কার্যবিবরণী পর্যালোচনা এবং উত্থাপিত বিভিন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এবারের মহান দানোত্তম কঠিন চীবর দান গভীর শ্রদ্ধা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে বৈঠক সূত্র।
প্রসঙ্গত, পার্বত্য চট্টগ্রামের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রাঙামাটির রাজবন বিহার। আয়তনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৌদ্ধ বিহার এটি। মূলত তিনমাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা পূর্ণিমার পর থেকে পাহাড়ের বিভিন্ন গ্রামে-গ্রামের বিহারে চলে কঠিন চীবর দানোৎসব। কঠিন চীবর দান উৎসব শুরুর শেষ দিকেই রাঙামাটির রাজবন বিহারে চীবর দান হয়ে থাকে।
তবে রাজবন বিহারের পরও দুয়েকটি বিহারে এই উৎসব উদযাপিত হয়।