শনিবার | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

ফুটবলে জাতীয় ক্রীড়া পুরুস্কার পাচ্ছেন রাঙামাটির বরুন বিকাশ দেওয়ান

প্রকাশঃ ১০ মে, ২০২২ ০৮:৩৬:২১ | আপডেটঃ ১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১১:২৫:০৬
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। ফুটবলই যার শখ, যার নেশা এবং এক সময় বাংলাদেশের  ফুটবল খেলাকে যিনি দেশে বিদেশে তোলে ধরেছিলেন সেই রাঙামাটির কৃতি সন্তান জাতীয় ফুটবলার বরুন বিকাশ দেওয়ান ফুটবলে অসামান্য অবদান রাখায় এবার জাতীয় ক্রীড়া পুরুস্কার পাচ্ছেন। আগামীকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনা ৮৫জন ক্রীড়াবিদকে এই পুরুস্কার দিবেন। কাল বুধবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্তদের হাতে এই পুরুস্কার তোলে দেয়ার কথা রয়েছে।

২০১৩ সন থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত যারা ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন এমন ৮৫জনকে বাছাই করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেল এমন তথ্যে জানিয়ে বলেছেন, জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাচ্ছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেজ ছেলে সাবেক ফুটবলার শহিদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল (মরণোত্তর)। ১৯৯৯ সালে কাঠমান্ডু সাফ গেমসে স্বর্ণজয়ী বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জুয়েল রানা, গোলকিপার মো. মহসিন, কাজী আনোয়ার হোসেন, খন্দকার রকিবুর রহমান, ইমতিয়াজ সুলতান জনি, ইলিয়াস হোসেনদের সঙ্গে পুরস্কার পাচ্ছেন সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী ফুটবলার আরিফ খান জয় এবং বরুন বিকাশ দেওয়ানও। আটবারের দ্রুততম মানবী সুলতানা পারভীন লাভলি, ফরহাদ জেসমিন লিটি, রোকেয়া বেগম খুকি, সাঈদ-উর-রব, মিউরেল গোমেজ ও বেগম কামরুন্নেসার নাম রয়েছে চূড়ান্ত তালিকায়। সাঁতারু  মাহফুজা রহমান তানিয়া, নিবেদিতা দাস, প্রয়াত সংগঠক আফজালুর রহমান সিনহা ও লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মইনুল ইসলাম, মোজাফফর হোসেন পল্টু ও তার সহোদর এনায়েত হোসেন সিরাজ, বিওএ’র মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা পাচ্ছেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার। ক্রিকেটে খালেদ মাহমুদ সুজন, হাবিবুল বাশার সুমন, আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি ও জালাল ইউনুসের হাতেও শোভা পাবে এই পদক। ২০১৩ থেকে ২০২০’র ৮৫ জন ক্রীড়াব্যক্তিত্বের নাম বাছাই করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। পরে তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়। জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটি ৮৫ জনের নাম চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন দেয়। এ তালিকা প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। 

১৯৬৯ সনের ১ ফেব্রুয়ারী রাঙামাটির মাঝের বস্তি এলাকায় জন্ম গ্রহণ করেন বরুন বিকাশ দেওয়ান।  ১৯৮৮ সালে অনুর্ধ্ব ১৬ জাতীয় ফুটবল দলে যোগ দেয়ার মাধ্যমে তার ফুটবল খেলা শুরু হয়।  এরপর তিনি বাংলাদেশের জাতীয় দলের নিয়মিত খেলোয়ারের পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র, মোহামেডান, আবাহনী ক্রীড়া চক্র ও  ব্রাদার্স ইউনিয়নের মত দলের হয়ে খেলেছেন।

১৯৯৫ সনে বার্মা (মায়ানমার) ও ১৯৯৯ সালে কাঠমন্ডু সাফ গেমসে ফুটবলে বাংলাদেশ দলের জয়ের পেছনে তার অবদান ছিলো অনস্বীকার্য।
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে কেউ ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদানের জন্য  প্রথমবারের মত  জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাচ্ছেন। ২০১৫ সনের বাছাইতে তিনি ফুটবলে অবদান স্বরুপ এই পুরুস্কার পাচ্ছেন। ২০১৫ সনে ফুটবল ক্যাটাগরীতে আরো পুরুস্কার পাচ্ছেন ফুটবলার মো: জুয়েল রানা।

ফুটবল খেলা থেকে অবসর নিয়ে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে কাজ করছেন বরুন বিকাশ দেওয়ান। রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার দুইবারের সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি বর্তমানে সহ সভাপতির দাায়িত্ব পালন করছেন। একই সাথে ২০১৭ সনে গড়ে তুলেছেন রাঙামাটি ডায়নামিক ফুটবল একাডেমি নামক একটি ফুটবল একাডেমি যেখানে প্রায় ১২০ জন ক্ষুদে ফুটবলার নিয়মিত প্রশিক্ষণ নিতো কিন্তু করোনার কারণে খেলাধুলা বন্ধ থাকায় বর্তমানে ৬৫জন প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। 

জাতীয় পুরুস্কার প্রাপ্তদের একটি স্বর্ণপদক, সনদপত্র, নগদ এক লাখ টাকা ও একটি ব্লেজার দেওয়া হয়।

জাতীয় ফুটবলার বরুন বিকাশ দেওয়ান তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই পুরুস্কার শুধু আমার একার না, এটা পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের পুরুস্কার। তাদের দোয়া ও ভালোবাসা ছিলো বলে আমি এতটুকু পর্যায়ে আসতে পেরেছি। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে মনোনীত করায় তিনি প্রধানমন্ত্রী ও ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানান।


স্পোর্টস |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions