প্রকাশঃ ১২ অগাস্ট, ২০১৮ ০৫:১৯:১২
| আপডেটঃ ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০৩:৫৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক কর্ম-সম্পাদন চুক্তি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার রাঙামাটি পর্যটন মোটেলের সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালার উদ্বোধন করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান। বিশ্ববিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার অঞ্জন কুমার চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের উপ-সচিব মো. শাহীন সিরাজ।
এ ছাড়া কমিশনের উপ-সচিব জাকিয়া পারভীন, মো. কামরুল হাসানসহ অন্য কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টি চালু করা হয়েছে। বর্তমানে তিনটি ব্যাচ শেষ করে চতুর্থ ব্যাচে পদার্পণ করছে। পর্যায়ক্রমে স্থায়ী জায়গায় স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যাম্পাসে পরিণত হবে। এর যাবতীয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টি এ অঞ্চলের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য শহরের ঝগড়াবিল মৌজার ৬৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বছরই ২২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে মাষ্টার প্লান তৈরী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী স্থাপনার নির্মাণের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে জিডিটাল সার্ভে সম্পন্ন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাঙামাটি দেশের একটি প্রান্তিক অঞ্চল। এ অঞ্চলের অধিবাসীদেরকে উচ্চ শিক্ষায় এগিয়ে নিতে সরকার এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। এক দিন রাঙামাটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি প্রফেসর ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা বলেন, ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু এ বিশ্ববিদ্যালয়টির। ২০১৫ সালে প্রথম ব্যাচে ভর্তি করা ৮৬ শিক্ষার্থী এবং ৪ শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছিল। বর্তমানে তিনটি ব্যাচে ২৬৪ শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করছে। চতুর্থ ব্যাচে আরও ১০০ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে ৭ শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। আরও ৯ শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা শিগগির যোগদান করবেন।
তিনি বলেন, আমাদের সীমাবদ্ধ অনেক। এসবের মধ্যে শহরের শাহ উচ্চবিদ্যালয়ে অস্থায়ী ক্যাম্পাস করা হয়েছে। ক্লাসরুম ও শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট প্রকট। তবু অর্জন যথেষ্ট হয়েছে। এরই মধ্যে শ্রেষ্ট উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কৃত হতে সক্ষম হয়েছি। স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনে রাঙামাটি শহরের ঝগড়াবিল এলাকায় ৬৪ একর জমির অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ডিজিটাল সার্ভে শেষ করে ডিপিপি তৈরি করে তা পাঠানো হয়েছে। আশা করছি সামনের ডিসেম্বরের মধ্যে নিজস্ব জায়গায় একাডেমিক ভবন নির্মাণ করে ক্যাম্পাস চালু করা সম্ভব হবে।