প্রকাশঃ ১০ অগাস্ট, ২০১৮ ০৭:৪০:৫৪
| আপডেটঃ ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ০৬:৫৭:০৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। দরিদ্র মানুষের উন্নয়নে বিরোধীতা না তাদের জীবন মান উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। তিনি বলেন, সরকার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীগুলিকে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তারই আলোকে মৌজা বন রক্ষাকারী গ্রামবাসীকে বন রক্ষায় আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করছে। এতে কোন রাজনীতি নেই, শুধুমাত্র পার্বত্য পশ্চাদপদ মানুষের জীবন মানোন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (৯আগষ্ট) রাঙামাটি বিলাইছড়ি উপজেলায় পাহাড়ের পশ্চাদপদ এলাকায় বসবাসরত মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও গ্রামীণ সাধারণ বন রক্ষার্থে এসআইডি-সিএইচটি-ইউএনডিপি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর প্রকল্পের আওতায় ভিলেজ কমন ফরেস্ট (ভিসিএফ) কমুনিটিজ এর সুফলভোগীদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বৃষ কেতু চাকমা একথা বলেন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শুভ মঙ্গল চাকমা, ১নং বিলাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি দেওয়ান, বিলাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমেদ নাসির উদ্দিন মোহাম্মদ, শাইনিং হিলের নির্বাহী পরিচালক মোঃ আলী। স্বাগত বক্তব্য দেন ইউএনডিপি জেলা ব্যবস্থাপক ঐশ্বর্য চাকমা।
এসময় বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তংচঙ্গ্যা, ফারুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিদ্যালাল তংচঙ্গ্যা, বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সুকুমার চক্রবর্তী’সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্র্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আরো বলেন, পাহাড়ের বন উজাড় হওয়ার ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো ভয়াবহ ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে গত বছর ভূমিধসে ১২০জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ ঘটনার পরও মানুষের মাঝে চেতনা তৈরী হচ্ছে না। তিনি বলেন, মানুষ সচেতন না হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। বর্ষাকালে বৃষ্টি হবে না, শীত কালে গরম পড়বে, গরম কালে শীত পড়বে। এর প্রভাব থেকে বাঁচতে হলে আমাদেরকে বেশী বেশী বন সৃষ্টি করতে হবে। প্রাকৃতিক বন সৃষ্টি করা গেলে আমাদের ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ আবারো প্রাকৃতিক বনসম্পদে ভরে উঠবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, মৌজাবন রক্ষার পাশাপাশি চাষীরা যদি অন্যান্য বনায়ন করতে চায় তাহলে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ তাদের পাশে থাকবে। তিনি আরো বলেন, বাড়ীর পাশে বা পরিত্যক্ত পাহাড়ে চাষাবাদের পাশাপাশি গবাদী পশুপালনে সরকারের এ অর্থ ব্যয় করুন দেখবেন সুফল আসবে। সরকারের এ অর্থগুলো ভালো কাজে বিনিয়োগ করে নিজেদের স্বাবলম্বী করারও পরামর্শ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিলাইছড়ি উপজেলার গাছকাটা ছড়া, আমতলা, মোনপাড়া, নরশ্যে পাড়া ও নকাটাছড়া গ্রামের মোট ১১৮টি পরিবারকে পরিবার পিছু নগদ ৭হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়।
প্রকল্পের এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ০২ আগষ্ট লংগদু উপজেলার ২৯৫ পরিবার, ০৪আগষ্ট সদর উপজেলার ৩৫১টি পরিবার, ৫আগষ্ট কাপ্তাই উপজেলার ১৭৬টি পরিবার, ৮আগষ্ট বরকল উপজেলার ৩১৮টি পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।