রাঙামাটির যমচুগ ভাবনা কেন্দ্রে কঠিন চীবর দানোৎসব সম্পন্ন

প্রকাশঃ ২৫ অক্টোবর, ২০২১ ০৮:৪৯:৩৯ | আপডেটঃ ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০৯:১৬:৫৫
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি সদর উপজেলার বন্দুকভাঙা ইউনিয়নের যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্রে ৩৮তম কঠিন চীবর দানোৎসব সম্পন্ন হয়েছে। বিহারটিতে রোববার শুরু হয়ে দু’দিনব্যাপী কঠিন চীবর দানোৎসব শেষ হয় সোমবার সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ফানুস উত্তোলণ দিয়ে।

এ বিহারে রোববার দুপুরে পঞ্চশীল গ্রহণের মধ্য দিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা কেটে বুনন, সেলাই ও রংকরণসহ কঠিন চীবর (বৌদ্ধভিক্ষুদের গেরুয়া বস্ত্র) তৈরি শুরু হয়। মহামতি গৌতম বুদ্ধের প্রধান সেবিকা মহাপুণ্যবতী বিশাখা প্রবর্তিত নিয়মে চীবর তৈরি শেষে সোমবার তা সার্বজনিন দানকার্য সম্পাদন করা হয়েছে বৌদ্ধরতœ শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবির সমীপে।

সোমবার সকালে প্রাতরাশ, পিন্ডদান, বুদ্ধপুজা, বুদ্ধমূর্তিদান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, বিকালে কল্পতুরু প্রদক্ষিণ, কঠিন চীবর দান উৎসর্গ, পঞ্চশীল প্রার্থনা, সুত্রশ্রবণ, ধর্মীয় দেশনা এবং সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ফানুস উত্তোলণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে হাজার পূণ্যার্থীর সমাগম ঘটে।  

সকালে প্রথমে বৌদ্ধধর্মীয় মহাসাধক বনভান্তের প্রধান শিষ্য বৌদ্ধরতœ উপাধিপ্রাপ্ত শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবিরকে ফুলের তোড়ায় শ্রদ্ধা নিবেদন দিয়ে বরণ করেন ভক্তরা। এরপর সকালের কর্মসূচি শেষে বিকালে অনুষ্ঠানের মূলপর্ব কঠিন চীবর উৎসর্গ করা হয়।  এ অনুষ্ঠানে পুণ্যার্থীদের পক্ষে পঞ্চশীল প্রার্থনাসহ স্বাগত বক্তব্য দেন- বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি পূর্ণচক্র চাকমা। এছাড়া যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্র বিহার পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি দয়াল কৃষ্ণ চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমার সহধর্মিনী রিপা চাকমা, উপাসিকা নিরালা চাকমা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। পরে সমবেত পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে ধর্ম দেশনা দেন- বৌদ্ধরতœ শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবির ও রাঙামাটি রাজবন বিহারের জৈষ্ঠভিক্ষু শ্রীমৎ সত্যপ্রেম মহাস্থবির।

 এ সময় দীঘিনালা বন বিহারের জৈষ্ঠভিক্ষু শ্রীমৎ শুভবর্ধণ মহাস্থবির, ধুতাঙ্গটিলা বন বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ দেবধাম্মা মহাস্থবির,  যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্রের বিহারাধ্যক্ষ শ্রীমৎ কল্যাণ জ্যোতি মহাস্থবিরসহ অন্য বৌদ্ধভিক্ষু উপস্থিত ছিলেন।