সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ভোগান্তি পর্যটক ও যাত্রীদের

প্রকাশঃ ০২ অগাস্ট, ২০১৮ ০৭:৩৫:৩৪ | আপডেটঃ ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:১৬:০৫
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। টানা বর্ষণে বান্দরবানে একটি বেইলি ব্রিজ ভেঙে বান্দরবানের সঙ্গে রুমা ও থানচি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বুধবার দুপুর থেকে বান্দরবান-থানচি সড়কের ১১ মাইল এলাকায় একটি  ব্রিজ ভেঙে পড়লে ওই সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, আর এর পরপরই  দুর্ভোগে রয়েছে এই সড়কে চলাচলরত পর্যটক ও যাত্রীরা। গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টি আর পাহাড়ী ঢলে ব্রেইলি ব্রিজটির আশে পাশের মাটি সড়ে যাওয়ায় এবং ব্রিজের পাটাতন দুর্বল হয়ে পড়ায় গত বুধবার দুপুর থেকে যান চলাচল রয়েছে বন্ধ।

বান্দরবানের দুই উপজেলা ছাড়া ও এই সড়ক দিয়ে পর্যটন কেন্দ্র চিম্বুক,নীলগিরি ও  বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে যাতায়ত করতে হয়,কিন্তু হঠাৎ করে  ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ায় ফলে এই সড়কে চলাচলরত যাত্রী ও পর্যটকদের পড়তে হচ্ছে চরম বিড়াম্বনায়।

চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান বেড়াতে আসা পর্যটক শহীদুল ইসলাম জানান, বান্দরবান থেকে চিম্বুক পাহাড় বেড়াতে আসলাম ,পথিমধ্যে দেখলাম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আমাদের যেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।
 

সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। ব্রিজ ভেঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় পায়ে হেটেঁ যানবাহন পরিবর্তন করে চলাচল করতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের ,অন্যদিকে  ব্রিজ ভাঙ্গার কারণে দুই পাশে আটকা রয়েছে অসংখ্য যানবাহন।

আম নিয়ে আটকা পরা ট্রাক চালক শামসু জানান,দুই দিন ধরে আমরা বসে আছি রাস্তার ওপরে,ট্রাকেই ঘুমাই ট্রাকেই ভাত খাচ্ছি । ব্রিজ ঠিক হলেই তবে বান্দরবান যেতে পারব।


বান্দরবানে কয়েকদিনের ভারী বর্ষণের কারণে রুমা থানচি সড়কের বিভিন্ন ব্রেইলী ব্রিজের ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে, এছাড়া দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বিভিন্ন ব্রিজের লোহার পাটাতনও ভেঙে পড়েছে বহু জায়গায়।

এদিকে বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সজিব আহম্মদ জানান,সেনাবাহিনীর ২০ প্রকৌশল বিভাগের তত্ত্বাবধানে সড়কটির সংস্কার কার্যক্রম চলছে , বুধবার সকাল থেকে প্রবল বর্ষণের ফলে বেইলি ব্রিজটি ভেঙে যায়,তবে দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করে সড়কটিতে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হবে।


স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,শুধু ১১ মাইল এলাকার একটি ব্রেইলি ব্রিজই নয়, রুমা ও থানচি সড়কের বিভিন্ন ব্রেইলি ব্রিজগুলো দ্রুত মেরামত করলে অনেক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাবে এই সড়কে চলাচলরত সাধারণ যাত্রী ও পর্যটকরা।