বাঘাইছড়িতে অস্ত্র উদ্ধার, ইউপিডিএফের দাবি সাজানো

প্রকাশঃ ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৮:১৪:০৯ | আপডেটঃ ২৮ মার্চ, ২০২৪ ০৯:১৫:০২
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে পরিচালিত এক অভিযানে সন্ত্রাসী আস্তানা হতে দুটি একে-৪৭সহ স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রগোলা উদ্ধার করেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। রোববার ভোরে বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের পশ্চিম জারুলছড়ি নামক এলাকায় ইউনাইটেড পিপল ডেমোক্রেটিক ফ্্রন্টের (ইউপিডিএফ) একটি গোপন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্রগোলা উদ্ধার করেন, সেনাবাহিনীর ১২ বীর বাঘাইহাট জোনের সদস্যরা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট সেনাসূত্র জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ইউপিডিএফের ওই আস্তানায় অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে। কিন্তু সেনা উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালায়। এ সময় সন্ত্রাসীদের ধরতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করলে উভয়ের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা গভীর জঙ্গলে পালিয়ে যায়।

পরে তাদের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে দুইটি একে-৪৭ রাইফেল, দুইটি ম্যাগজিন, ১৩ রাউন্ড তাজাগুলি, দুই সেট মোবাইল ফোন ও তিনটি কাপড়ের ব্যাগসহ বেশকিছু  গোপন নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের পশ্চিম জারুলছড়িতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইউপিডিএফের গোলাগুলির ঘটনাটি সাজানো বলে দাবি করেছে ইউপিডিএফ। এটা ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে একটি গভীর ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে রোববার সংবাদ মাধ্যমে এক বিবৃতি পাঠিয়েছেন সংগঠনটির রাঙামাটি জেলা ইউনিটের প্রধান সংগঠক শান্তিদেব চাকমা।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ওই এলাকায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইউপিডিএফ কিংবা অন্য কারোর কোনো গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি। এটা মিথ্যা ও সাজানো নাটক। ইউপিডিএফ একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। গণতান্ত্রিকভাবেই ইউপিডিএফ তার সব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু শাসকগোষ্ঠী ইউপিডিএফের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে নস্যাত করতে নানা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। আর তারই অংশ হিসেবে খুন, গ্রেফতার, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো ও গোলাগুলির নাটক সাজানো হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে কথিত ‘অস্ত্র উদ্ধার’ নাটক জনগণের ওপর দমন-পীড়নের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।