প্রকাশঃ ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১২:৪১:১১
| আপডেটঃ ২১ নভেম্বর, ২০২৪ ০৭:৩৬:৪৪
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি: পার্বত্য জেলার সবচেয়ে পুরনো, প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী সংগঠনটির নাম ‘রাঙামাটি প্রেস ক্লাব’। সংগঠনটি এক ঝাঁক মেধাবী, বুদ্ধিদীপ্ত প্রৌঢ় ও তরুণ গনমাধ্যমকর্মীর সমন্বয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
সাংবাদিকরা সব সময় সমাজের মানুষের মাঝে অসঙ্গতির চিত্রগুলো তুলে ধরে তেমনি বিনোদন সংবাদ পরিবেশন করেও মানুষকে আনন্দ দেয়। এইজন্য তাদের অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। পরিবার-পরিজনের ভালবাসা উপেক্ষা করতে হয়।
কিন্তু তারা মানুষ। তাদেরও বিনোদনের প্রয়োজন হয়, একান্ত সময় কাটাতে হয়। আর সংবাদকর্মীদের কথা ভেবে এমনি এক বিনোদন তথা ‘সম্প্রীতি উৎসব’ এর আয়োজন করেছে রাঙামাটি প্রেস ক্লাব।আনন্দ, উল্লাস, আড্ডাবাজি, আলোচনা, ভোঁজন সবই চলেছে এ উৎসবে। সহকর্মীরা এক অপরের সাথে তাদের দু:খ ভাগাভাগি করেছেন, নিয়েছেন খোঁজ-খবর। মনকে দিয়েছেন প্রশান্তি।
এখানে বলে রাখা ভাল; উৎসবটির আয়োজন রাঙামাটি প্রেস ক্লাব করলেও এখানে জেলার গনমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি, সমাজের বিশিষ্টজনরা সংহতি প্রকাশ করে উৎসবে যোগ দেন।
উৎসবটি বৃৃহস্পতিবার রাতে প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবটিতে গণমাধ্যকর্মীদের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনদের উপস্থিতি আনন্দ, আড্ডাবাজি বেশ জমে উঠেছিলো।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান বলেন, সাংবাদিকরা দিন-রাত কাজ করে দেশ ও সমাজের স্বার্থে। সমাজের অসঙ্গতিগুলো তারা পত্রিকার পাতায় তুলে ধরেন। যে কারণে আমাদের সমাজের চিত্র সম্পর্কে জানতে পারি। তারা শুধু অসঙ্গতি চিত্র প্রকাশ করে বসে থাকে না; দুর্নীতি, অনিয়ম এসব বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করে। যে কারণে সমাজ থেকে অনেকে দুর্নীতি, অনিয়ম দূর হচ্ছে।
রাঙামাটি যুব ইউনিয়নের সভাপতি এম জিসান বখতিয়ার বলেন, আপনাদের এক সাথে দেখে আমার বেশ ভাল লাগছে। কারণ আপনারা যে পেশায় আছেন এক সাথে থাকা বা আড্ডা দেওয়া কঠিন। অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
রাঙামাটি জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম বলেন, আমি রাজনীতি করি। আপনাদের সাথে একত্রিত হতে পেরে আামি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।
রাঙামাটি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি নন্দন দেবনাথ বলেন, আমরা সাংবাদিকরা বিশ্রাম নিতে পারি না। রাত-দিন নেই। রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। সাংবাদিকরা সবাই এইভাবে থাকলে মনে শান্তি লাগে।
রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল বলেন, সাংবাদিকরা কখনো এক সাথে হতে পারে না। কাজের চাপে তারা মশগুল থাকে। পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, স্বজনদের সাথে তাদের যোগাযোগ কম হয়। আমি চিন্ত করলাম ব্যস্ত মানুষদের এক সাথে করতে পারলে ভাল লাগবে। তাই ভাল লাগা থেকেই জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে কয়েক ঘন্টা কাটানোর ব্যবস্থা করলাম। যাতে এক-অপরের সাথে সখ্যতা বাড়ে।
রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক বলেন, সম্প্রীতির মিলবন্ধনে আমরা সব সময় থাকতে চাই। কিন্তু সময় আমাদের দূরুত্ব বৃদ্ধি করে দেয়। তাই আজকের অনুষ্ঠান আমাদের সহকর্মীদের মধ্যে দুরুত্ব দূর করতে যেমন নিরামক ভূমিকা রাখবে; তেমনি নিজেদের মধ্যে সম্পর্কগুলোর গভীরতা প্রকাশ পাবে।
এছাড়াও বক্তৃতা করেন, রাঙামাটি রিপোটার্স ইউনিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেফাজত বারী সবুজসহ অন্যান্য গনমাধ্যমকর্মীরা।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে রাঙামাটি জেলার প্রবীণ সাংবাদিক দৈনিক ইনকিলাব এর স্টাফ রিপোর্টার ও রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের অন্যতম সদস্য সৈয়দ মাহবুবুর রহমানকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করা হয়েছে। আলোচনা পরবর্তী সাংবাদিক ও অতিথিরা ভোঁজন বিলাসে অংশ নেন।