বন ধ্বংস হওয়ার কারণে ভূমিধ্বস’সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হচ্ছে : বৃষকেতু চাকমা

প্রকাশঃ ২৩ জুলাই, ২০১৮ ০৮:২৮:০৮ | আপডেটঃ ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ০৮:৩৩:৪৩
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটিতে সপ্তাহব্যাপী শুরু হলো বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা। রাঙামাটি বন বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এ উপলক্ষে সোমবার (২৩জুলাই) সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি র‌্যালী বের হয়। র‌্যালীটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পৌরসভা কার্যালয় প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়ে  আলোচনা সভায় মিলিত হয়।

ফিতা কেটে ও ফেস্টুন উড়িয়ে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা।  

রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম শফি কামালের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় রাঙামাটি সার্কেলের  বন সংরক্ষক মোঃ ছানা উল্ল্যা পাটওয়ারী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএইচএম জাহাঙ্গীর আলম, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ শাহজাহান, রাঙ্গামাটি জোনের মেজর আশরাফ বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য দেন রাঙ্গামাটি দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ তৈাফিকুল ইসলাম।  

আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, বিভিন্নভাবে পার্বত্য অঞ্চলে বন ধ্বংস হওয়ার কারণে ভূমিধ্বস’সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হচ্ছে। বর্তমানে যে বন রয়েছে সেগুলো রক্ষা ও সংরক্ষণে তিনি সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এজন্য  প্রয়োজন বেশী করে গাছ লাগানো। আমাদের দেশের মাটির উর্বরতা বেশী তাই প্রায় সব ধরনের গাছ এখানে জন্মায়। তিনি পাহাড়ের যে সমস্ত খালি জায়গা রয়েছে সেখানে কৃষকদের বেশী করে গাছ লাগানের পাশাপাশি অপরিপক্ক গাছ না কাটার উপরও গুরুত্বারোপ করেন। তিনি পরিবেশ রক্ষায় পলিথিন বর্জনের উপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, গবেষকদের মতে পলিথিন মাটিতে প্রায় ২শত বছরেরও বেশী অক্ষত থাকে। যা মাটির সাথে মিশে যায় না। যার ফলে মাটির উর্বরতা কমে যায়। পলিথিন বর্জনের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

এর আগে অতিথিরা পৌরসভা প্রাঙ্গণে বিভিন্ন নার্সারী, সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সজ্জিত গাছের চারার স্টলগুলো পরিদর্শন করেন।  পরে চাষীদের মাঝে ফলজ ও ঔষধী চারা বিতরণ করা হয়।