প্রকাশঃ ২২ জুলাই, ২০১৮ ০৬:৪৭:৪৯
| আপডেটঃ ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০১:১০:৪৯
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার বাড়লেও জিপিএ-৫ নেই। গোটা জেলার ১৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে শুধু ১ জন। তার নাম জান্নাতুল তাজেরিন লাভিবা। সে রাঙামাটি সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। লাভিবা রাঙামাটি সিনিয়র মাদ্রাসার শিক্ষক আবদুর ও জাহেদা বেগমের মেয়ে। দুই ভাইবোনের মধ্যে সে বড়। এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে রাঙামাটিতে এবারও দেখা দিয়েছে অসন্তোষ ও হতাশা। অনেকের মতে, জেলার পড়ালেখার মান দিন দিন বিপর্যয়ের দিকে। ফলে ফলাফলে উন্নতি নেই। মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা না থাকায় এমনটা হচ্ছে।
ফলাফলে দেখা যায়, এবার এইচসি পরীক্ষায় জেলার পাসের হার ৪৯ দশমিক ২২- যা গত বছর ছিল ৪৫ দশমিক ৯৯। এবার জেলার কলেজভিত্তিক ১৭ প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৫৯২৮ জন। পাস করেছে ২৯৪৬ জন। কলেজভিত্তিক পাস করেছে রাঙামাটি সরকারি কলেজের ১৪১৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৫০ জন, রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজের ৮৩৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৯৩ জন, রাঙামাটি লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১২৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১০৪ জন, রাঙামাটি পাবলিক কলেজের ২০৫ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১১৩ জন, বাঘাইছড়ি উপজেলার কাচালং কলেজের ৬৯৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪৪৪ জন, সিজক কলেজের ৪১৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২২৯ জন, উপজেলার কাউখালী কলেজের ২৮৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১০৪ জন, ঘাগড়া কলেজের ১১৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪০ জন, সৃজনী ট্রাষ্ট স্কুল এন্ড কলেজের ১১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬ জন, কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী কলেজের ৬১৩ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩২৯ জন, কর্ণফুলী পেপার মিলস্ হাই স্কুল এন্ড কলেজের ২১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭ জন, লংগদু উপজেলার রাবেতা মডেল কলেজের ৩৬৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৮০ জন, গুলশাখালী বর্ডার গার্ড মডেল কলেজের ৩৮ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৮ জন, নানিয়ারচর উপজেলার নানিয়ারচর কলেজের ১৩৭ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪৮ জন, রাজস্থলী উপজেলার বাঙালহালিয়া কলেজের ২৬৭ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪২ জন, রাজস্থলী কলেজের ২৪১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৫ জন এবং বরকল উপজেলার বরকল রাগীব রাবেয়া কলেজের ১১৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮৬ জন
।
জেলা প্রশাসক একেমএম মামুনুর রশিদ বলেন, জেলায় পড়ালেখার মান সন্তোষজনক নয়। এ ছাড়া ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভাব। রয়েছে শিক্ষক সঙ্কটসহ নানা সমস্যা। অভিভাবকদের মধ্যেও সচেতনতার অভাব লক্ষ্য করা যায়। এসব কারণে প্রত্যেক বছর জেলা ফলাফল তেমন ভালো হয় না।