প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ কৌশল বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশঃ ১৮ জুলাই, ২০১৮ ১০:০৭:৪৬ | আপডেটঃ ২১ নভেম্বর, ২০২৪ ০৩:৪৮:২৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। বান্দরবানে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ কৌশল কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বেসরকারি এনজিও সংস্থা স্যাপলিং,ইউএসএইড ও  হেলেন কেলার এর আয়োজনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো:আসলাম হোসেন।

এসময় অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো:কামরুজ্জামান,পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য তিংতিং ম্যা,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রী এন্ড এনভাইরনমেন্ট সাইসেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড:মো.কামাল হোসেন,বান্দরবান কালেক্টটর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সুকুমার দত্ত,জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অনিল কুমার সাহা,কারিতাস বান্দরবানের প্রকল্প পরিচালক রুপনা দাশ,জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুস্মিতা খীসা, বান্দরবান প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু,সাধারণ সম্পাদক মো:ফরিদুল আলমসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকা ও সংবাদকর্মীরা কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

এসময় অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনিস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রী এন্ড এনভাইরনমেন্ট সাইসেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড: মো.কামাল হোসেন প্রজেক্টের মাধ্যমে বান্দরবান জেলার পুর্বের প্রাকৃতিক অবস্থা ও বর্তমান অবস্থা সর্ম্পকে বিশদ ধারণা প্রদান করেন। এইসময় তিনি বলেন, একসময় বান্দরবান ছিল সবুজে ভরপূর। বিশাল বিশাল বৃক্ষ ,আর ফল ও পাখিতে ভরা ছিল এই জেলার সর্বত্র। কিন্তুু কালের বির্বতনে আজ অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে। এসময় কর্মশালায় অধ্যাপক ড: মো.কামাল হোসেন বান্দরবানের প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে সবাইকে নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করার আহবান জানান এবং ভুমিধস,পাহাড় ধস ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে বেশি বেশি করে বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা লাগানোর আহবান জানান।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো:আসলাম হোসেন বলেন,পার্বত্য জেলা বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর এলাকা। বান্দরবান একটি পার্বত্য জেলা আর এটি একটি পর্যটন সমৃদ্ধ জেলা ও । এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, বান্দরবানে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ ও বান্দরবানের জলবায়ু সঠিক রেখে সকলের সুন্দর অবস্থান ও পাহাড় ধসে মৃত্যুরোধ করার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি সকল বেসরকারি এনজিও ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। এসময় তিনি আরো বলেন, শুধু কর্মশালা করে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ শেষ করলে হবে না। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী দেশ উপহার দিতে আমাদের পরিবশে সুরক্ষার প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে। অপরিকল্পিত কোন কিছুই করা যাবে না।পরিবেশ দুষণ রোধ করে পাহাড়ের এই সবুজ ও উর্বর মাটিতে বিভিন্ন ফল ফলাদি ও ধান রোপন করে সর্বত্র চাষাবাদ বৃদ্ধি করে প্রতিটি এলাকা খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণ করে তুলতে হবে।