সিসিডিআর এর নির্বাহী পরিচালক জাহিদের ৭ বছর কারাদন্ড, ১৫লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশঃ ২৬ জানুয়ারী, ২০২১ ১২:১৯:২২ | আপডেটঃ ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০৮:৫০:৫৩
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। দ্বিগুন লাভের লোভ দেখিয়ে সঞ্চয়কারীদের সাথে প্রতারণা করে অর্থ আতœসাতের মামলায় সেই প্রতারক জাহেদুর আলম জাহিদের ৭ বছর কারাদন্ড ও ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। অনদায়ে আরো এক বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। একইসাথে জাহিদের প্রতারণার দুই সহযোগী  আরিফুল ইসলাম ও তাপসী পাল প্রত্যেককে দুই বছর কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে দুই মাস কারাদন্ড প্রদান করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাঙামাটি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ.এন.এম. মোরশেদ খান এর আদালত এই দন্ডাদেশ দেন। একই সাথে পলাতক জাহিদকে গ্রেপ্তার করতে জারি করেন পরোয়ানা। জাহেদুল আলম জাহিদ(৫৫) ‘সেন্টার ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ (সিসিডিআর)’ নামক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে সঞ্চয়কারীদের সাথে এই প্রতারণা করে আসছিলেন। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী পরিচালক জাহিদ রাঙামাটি শহরের তবলছড়ি সর্ণটিলা এলাকার মৃত ইউসুফ এর সন্তান।

এছাড়া অপর দুই সহযোগি আরিফুল ইসলাম (২৮) রাঙামাটি কলেজ গেট আমানতবাগ এলাকার হাসান ড্রাইভারের ছেলে এবং তাপসী পাল(২৮) রাঙামাটির পূর্ব ট্রাইবেল আদাম হিন্দুপাড়ার প্রদীপ পালের স্ত্রী।  সোমবার এ মামলার হাজিরা দিতে গেলে আদালত মামলার রায় ঘোষণা করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

চীফ জুডিসিয়াল আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোঃ মনজুরুল ইসলাম সন্ধ্যায় এই প্রতিবেদককে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি নামকাওয়াস্তে সমবায় থেকে লাইসেন্স নেয়। কিন্তু সমবায়ের নিয়মনীতি কিছুই মেনে চলেনি। জনগণের সামনে বৈধ প্রতিষ্ঠানরূপে আবির্ভূত হয়ে জনগণের কাছ থেকে ব্যাংক হিসাবের মত করে দ্বিগুন লাভের লোভ দেখিয়ে সঞ্চয় হিসাব খোলে টাকা গ্রহণ করে। পরে সঞ্চয়কারীদের সাথে প্রতারণা করে অর্থ আতœসাৎ করেছে। এ প্রতারণা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।

প্রতারণার শিকার ৩১ জন গ্রাহকের পক্ষে গত ১২ অক্টোবর ২০১৭ সালে রাঙামাটির কোতয়ালী থানায় প্রতারণার (জি আর মমলা-৩৫১/১৭) মামলাটি দায়ের করেন মামুনুর রশীদ। এতে অভিযোগ করা হয়েছে ওই তিন প্রতারক পরস্পর যোগসাজসে রাঙামাটির স্বর্ণটিলায় অফিস স্থাপন করে সঞ্চয় ও ঋণ কর্মসুচির নামে ১১লাখ ৯৬ হাজার ৫৭০ টাকা আতœসাৎ করেছে। তিন বছরের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করে আদালত সোমবার এ আদেশ দেন।

এছাড়াও এই প্রতারণার কৌশলে জাহেদুল আলম জাহিদ ও তার সহযোগীদের মাধ্য সঞ্চয় আমানতকারীদের কাছ থেকে আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।