রাউজান থেকে রাঙামাটি পর্যন্ত চার লেন সড়ক নির্মাণ করা হবে : দীপংকর তালুকদার এমপি

প্রকাশঃ ২৪ জানুয়ারী, ২০২১ ১২:৪৯:১৮ | আপডেটঃ ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০৫:৩০:০৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। খুব শীঘ্রই রাউজান থেকে রাঙামাটি পর্যন্ত চার লেন সড়ক নির্মাণ করা হবে ঘোষণা দিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন, রাঙামাটি পর্যটন নগরী। পর্যটন নগরীতে উন্নত সড়ক ব্যবস্থা না থাকলে পর্যটকরা আগ্রহ হারাবে, যেহেতু রাউজান পর্যন্ত চার লেন নির্মিত হচ্ছে, সহসাই রাঙামাটিতে সড়কটিও চার লেনে উন্নীত হবে। তিনি বলেন, অনেকেই আশঙ্কা করছেন পাহাড়ি সড়কে কিভাবে চার লেন নির্মিত হবে, সে সমাধানও আমরা নিয়ে রেখেছি। কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিং করে পলি অপসারণ করে সেগুলো সড়ক নির্মাণে ব্যবহার করা হবে। কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিংয়ের জন্য ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়েছে।

দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, আপনাদের অনেক দায়িত্ব, রাঙামাটি পুরো জেলাকে সমানভাবে উন্নয়ন করতে হবে। কেউ যাতে বলতে না পারে জেলা পরিষদ দুর্নীতির আখড়া হয়ে উঠেছে। কেউ যাতে বলতে না পারে এখানে চাকরির জন্য টাকা লাগে। টাকা নাই তো চাকরি নাই। এমন কিছু শুনলে বা জানতে পারলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সব কিছু সঠিকভাবে করতে হবে, মেধাবিরা যাতে বঞ্চিত না হয়, সেদিকে কঠোর নজর রাখতে হবে।

এসময় তিনি আরও বলেন, আমরা ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হই। তাই বলে শুধু ৫ বছরের জন্যই আমরা চিন্তা করি তা না। নৌকা আছে, আমি আছি, আওয়ামী লীগ আছে, উন্নয়ন আছে। আমার চিন্তা করি সুদূর প্রসারী উন্নয়নের। এসরকারের আমলে পালটে যাবে কাউখালী উপজেলার চিত্র। যদি কেউ এই আগামী ৩ বছর বাহিরে থাকে তবে ৩ বছর পর কাউখালী আর চিনতে পারবে না।

তিনি বলেন, আমরা অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। বিএনপি সহ বড়বড় দলগুলো কখনই পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলে নাই। আমাদের দাবির ফলে সেনাবাহিনীর অভিযান চালিয়েছে। ফলে এখন চাঁদাবাজি কমেছে। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আরও অভিযান বাড়ানো হোক। আওয়ামীলীগ সরকার বাংলাদেশের সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ২০৪১ সালে একটি উন্নয়নশীল দেশে হবে।

তিনি শনিবার বিকেলে কাউখালী উপজেলা পরিষদ মাঠ প্রাঙ্গনে কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অংগ সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের স্বরনকালের বিশাল গন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামশু দোহা চৌধুরীর সবাপতিত্বে অনুষ্টিত উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অংসুই প্রু চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান চিংকিউ রোয়াজা রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর , রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য ও কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অংশুসাইন চৌধুরী, ক্উাখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এরশাদ সরকার,সহ-সভাপতি ক্যাজাই মারমা,মোঃ বেলাল উদ্দিন,সহ-সম্পাদক ক্যচি মং মারমা ও মাঈন উদ্দিন খোকা। এসময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য প্রিয় নন্দ চাকমা, নিউচিং মারমা, মো. আব্দুর রহিম, দিপ্তীময় তালুকদার, প্রবর্তক চাকমা, ঝর্ণা খীসা, ইলিপন চাকমা, সবির কুমার চাকমা, মোছা. আছমা বেগম বাদল চন্দ্র দে, বিপুল ত্রিপুরা, রেমলিয়ান পাংখোয়া, কাউখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম চৌধুরীসহ জেলা উপজেলা আওয়ামীলীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কাউখালী উপজেলা সর্বস্থরের মানুষের ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত হন সংবর্ধিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সদস্য ও রাঙামাটির সাংসদ দীপকংকর তালুকদার এমপি। শেষে এলজিএসপি এর অর্থায়নে কাউখালী উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন পরিষদে কম্পিউটার ও প্রিন্টার প্রদান করেন প্রধান অতিথি। স্মরনকালের বৃহত্তম এ সংবর্ধনা সভায় কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় দশ সহ¯্রাধিক লোকের সমাগম ঘটে। আওয়ামীলীগ ও অংগ সংগঠন এ সংবর্ধনার আয়োজন করলেও তা কাউখালীর সর্বস্তরের জনসাধারনের সংবর্ধনা সভায় পরিনত হয়। সর্বস্থরের জনসাধারনের দেয়া ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেষ্ট প্রদান ছিলো চোখে পড়ার মতো। অনুষ্ঠান শেষে পিকআপ ভর্তি করে ক্রেষ্ট ও ফুলের তোরা নিয়ে যেতে দেখা যায়।