শান্তি চুক্তির বির্তকিত ধারা সংস্কারপূর্বক বাস্তবায়নের দাবি

প্রকাশঃ ০২ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৪:১৪:৪৬ | আপডেটঃ ০৪ মে, ২০২৪ ০২:২২:৪৫
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির বির্তকিত ধারাসমূহ সংস্কার করে পূর্নাঙ্গ ধারা বাস্তবায়নের দাবিতে বান্দরবানে সংবাদ সম্মেলন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।

২ ডিসেম্বর (বুধবার ) সকালে বান্দরবানের একটি রেস্টুরেন্টে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২৩তম বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলন এইসব কথা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী মজিবর রহমান।

এসময় তিনি আরো বলেন, শান্তি চুক্তির ২৩ বছরে শান্তি আসেনি পাহাড়ে ,একটি মহল সবসময় পাহাড়ে অশান্তি বিরাজ করে রাখছে আর এতে পাহাড়ে খুন,অপহরণ ও চাঁদাবাজি বেড়ে পাহাড় উত্তপ্ত থাকছে সবসময়। এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম     নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী মজিবর রহমান অবিলম্বে শান্তি চুক্তির বির্তকিত ধারাসমূহ সংস্কার করে পূর্নাঙ্গ ধারা বাস্তবায়নের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী মজিবর রহমান বলেন, ২৩ বছর আগে ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর পার্বত্য এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পার্বত্য শান্তি চুক্তি হয়েছিল, আর শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই চুক্তি হয়েছিল বলে এই চুক্তির নাম পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি। তিনি  আরো  বলেন, এ চুক্তির পরও পার্বত্য এলাকায় শান্তি ফিরে আসেনি। বরং পাহাড়ের প্রতিঘরে ঘরে আজো অশান্তি বিরাজ করছে। তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৩টি জাতি গোষ্ঠির বসবাস রয়েছে আর যার মধ্যে ৫৬% বাঙ্গালী এবং ৪৪% উপজাতী ,এই পরিপ্রেক্ষিতে সকল জাতির অধিকার ও হাজার বছরের বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত এর জন্য শান্তি চুক্তির বির্তকিত ধারাসমূহ সংস্কার করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোঃ      মনিরুল ইসলাম, বান্দরবান জেলার সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন মোঃ তারু মিয়া, জেলার সহ-সভাপতি মোঃ আ: শুক্কুর, জেলার সহ-সভাপতি মোঃ আলম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নাছিরুল আলম, প্রচার সম্পাদক মোঃ ইকবাল মাহমুদ তুষারসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।