পাহাড়ে ফিরেনি কাঙ্খিত শান্তি, তবে উন্মুক্ত হয়েছে উন্নয়নের দ্বার

প্রকাশঃ ০১ ডিসেম্বর, ২০২০ ১০:৫১:৫৩ | আপডেটঃ ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০৭:১৪:৪৩
ষ্টাফ রিপোর্টার, রাঙামাটি। পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২৩তম বর্ষপূর্তি কাল ২রা ডিসেম্বর বুধবার । পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যাকে জাতীয় ও রাজনৈতিক হিসেবে চিহ্নিত করে এর স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষে ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিলো যা শান্তিচুক্তি নামে পরিচিত। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে তৎকালীন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও জাতীয় কমিটির আহবায়ক  আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীদের পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু) চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এর মধ্য দিয়ে অবসান ঘটে পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘ দুই দশক ধরে চলা সশস্ত্র ও রক্তক্ষয়ী সংঘাতের। অস্ত্র সংবরণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন পাহাড়ে আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলনরত জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র গেরিলারা। আর এতে সবাই আশান্বিত হয়েছিল পাহাড়ে ফিরবে  শান্তির বাতাবরণ।

কিন্তু পার্বত্য চট্রগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ২৩ বছর অতিক্রান্ত হলেও পাহাড়ে এখনো শান্তি আসেনি। পাহাড়ে বিবদমান ৪টি গ্রুপের ভ্রাত্বঘাতি সংঘাত কখনো পাহাড়ী বাঙালী দাঙ্গায় প্রতিনিয়ত সবুজ পাহাড় রক্তে লাল হচ্ছে। চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে চলছে চুক্তি স্বাক্ষরকারী সংগঠন আওয়ামীলীগ এবং জনসংহতি সমিতির মধ্যে পরস্পরবিরোধী অবস্থান। চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার জন্য চুক্তি পক্ষ জনসংহতি সমিতি সরকারকে দোষারোপ করলেও সরকারীদল বলছে চুক্তি পক্ষের অসহযোগিতার জন্য চুক্তি বাস্তবায়ন ধীরগতিতে এগুচ্ছে।

তবে শান্তি চুক্তির ফলে পাহাড়ে কাঙ্খিত শান্তি না আসলেও উন্নয়নের ধার উন্মুক্ত হয়েছে। চুক্তির পর পাহাড়ে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

শান্তি চুক্তির পরও আঞ্চলিক দলগুলোর মধ্যে সংঘাত

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর আ’লীগ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে সবার ধারণা ছিল পাহাড়ে অবসান ঘটবে দীর্ঘ দুই দশকের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংঘাতের। কিন্তু সে আশাকে হতাশায় ফেলে শান্তি চুক্তির গত ২৩ বছরে তিন পার্বত্য জেলায় উভয়ের মধ্যেকার সংঘর্ষে হতাহত হয়েছে বহু পাহাড়ী-বাঙ্গালী, চুক্তির বিরোধীতা করে একে আপোষ চুক্তি আখ্যা দিয়ে পূর্ণ স্বায়ত্বশাসন প্রতিষ্ঠার নামে জন্ম নেয় ইউপিডিএফ এবং বাঙ্গালীদের অধিকার আদায়ের নামে জন্ম নেয় পার্বত্য চট্রগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলন ও বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ।

পার্বত্য চট্টগ্রামে হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও প্রতিপক্ষের ওপর হামলার ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। কখনো পাহাড়ী, কখনো বা বাঙালি অধিবাসীর তরতাজা প্রাণ ক্ষয়ে যাচ্ছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি, ইউপিডিএফ, জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) এবং গনতান্ত্রিক ইউপিডিএফ চার ভাগ থাকলে বর্তমানে মুল দলগুলো ২ ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
একসময় চারটি সংগঠনের মধ্যে অর্ন্তকলহ লেগে থাকলেও এক পর্যায়ে অস্তি¡ত্ব রক্ষায় মুল জেএসএস, ইউপিডিএফ একপ্লাট ফর্মে চলে আসে এরপর আবার দুই সংস্কার জেএসএস ও ইউপিডিএফ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আলাদা প্লাট ফর্মে মুল জেএসএস ও ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।

শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের জেএসএস ভেঙ্গে ইউপিডিএফ হয়, আবার ২০০৮ সালে জরুরী অবস্থার সময় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন  জেএসএস ভেঙ্গে জেএসএস সংস্কার নামে আরেকটি সংগঠনের জন্ম হয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন তাতিন্দ্র লাল চাকমা পেলে ও সুধা সিন্ধু খীসা। এসময় চলতে থাকে ত্রিমুখী সংঘাত, ২০১৫ সন থেকে জেএসএস এবং ইউপিডিএফের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে ২০১৭ সন পর্যন্ত বন্ধ ছিল ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত। ২০১৭ সনের নভেম্বর মাসে আবার ইউপিডিএফ ভেঙ্গে নতুন ইউপিডিএফ সংস্কার নামে আরেকটি সংগঠন হয়। ইউপিডিএফ সংস্কার হওয়ার পর আবারো পাহাড়ে শুরু হয় রক্তের নির্মম হোলি খেলা। ইউপিডিএফ সংস্কার শুরুতে মুল ইউপিডিএফের গুরুত্বপুর্ণ নেতাদের হত্যাসহ জেএসএস নেতা কর্মীদের হত্যা শুরু করে।

নানিয়াচর উপজেলা উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেএসএস সংস্কারের সহ সভাপতি এডভোকেট শক্তিমান চাকমাকে ২০১৮ সনের ৩ মে দুবৃর্ত্তরা হত্যা করে, নিহত এডভোকেট শক্তিমান চাকমার দাহক্রিয়ায় যোগ দিতে ৪ মে খাগড়াছড়ি থেকে নানিয়াচর যাওয়ার পথে ইউপিডিএফ সংস্কারের প্রধান তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মাসহ ৬জন নিহত হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে ইতিপুর্বে আঞ্চলিক দলগুলোর রেশারেশি এবং গুলিতে কেউ মারা গেলে মামলা হতো না, তবে ২০১৪ সনের সংসদ নির্বাচনে রাঙামাটি আওয়ামীলীগ সন্ত্রাস চাঁদাবাজি ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার আন্দোলন শুরু করলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিবার মামলা করা শুরু করেছে।

তারই ধারাবাহিকতায় নানিয়াচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা ও ইউপিডিএফ সংস্কারের প্রধান তপন জ্যোতি চাকমা বর্মা নিহত হওয়ার ঘটনায় দুটি পৃথক মামলায় ইউপিডিএফের প্রধান প্রসীত খীসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ের নেতা কর্মী, ইউপিডিএফ সমর্থিত জনপ্রতিনিধি এবং মুল জেএসএসের সন্তু লারমা এবং উষাতন তালুকদারকে বাদ দিয়ে বাকি কেন্দ্রীয় ও জেলা ও উপজেলা নেতাদের আসামী করা হয়েছে। পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরের পর সরকারি কর্মকর্তাদের বড় ধরণের হামলার ঘটনা না ঘটলেও ২০১৯ সনের মার্চে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় নির্বাচনের দায়িত্ব পালন শেষে বাঘাইছড়ি সদরের ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের গুলিতে সহকারী প্রিজাডিং অফিসারসহ ৭জন নিহত হয়।  

একের  পর এক মামলা এবং আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অভিযানের মুখে অধিকাংশ নেতা কর্মী পালিয়েছেন, ঘর বাড়ি ছাড়া। এছাড়া জেএসএসের মুল চাঁদা কালেক্টর জ্ঞান শংকর চাকমাসহ বেশ কয়েকজন নেতা এরই মধ্যে নিহত হয়েছেন।

একটি গোয়েন্দা সংস্থার মতে , পার্বত্য চট্টগ্রামে বিবাদমান আঞ্চলিক দলগুলোর সংঘাতে পাহাড়ে  গত ৬ বছরে খুন হয়েছেন অন্তত ৫শতাধিক জন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের অনেক পদধারী নেতাও আঞ্চলিক সংগঠনের হাতে খুন হয়েছেন।

এছাড়া চারটি আঞ্চলিক সংগঠন- জনসংহতি সমিতি (জেএএসএস-মূল), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-মূল), জেএসএস (সংস্কার) ও ইউপিডিএফের (গণতান্ত্রিক) কাছে ভয়াবহ সব মারণাস্ত্র থাকারও তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা।


এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- রকেট লঞ্চার ৫৪টি, এসএমজি ৬৪১টি, বিভিন্ন ধরনের রাইফেল ৫৯৪টি এবং হাতবোমা আছে এক হাজারেরও বেশি। এছাড়া চার শতাধিক দেশি পিস্তল ও বন্দুক এবং ৪০টি মর্টার রয়েছে।



চুক্তি ২৩বছর পরও  শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

চুক্তিস্বাক্ষরকারী সংগঠন জনসংহতি সমিতির নেতারা বলছেন,  আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বাস্তবায়ন না হলে পাহাড়ের সমস্যার সমাধান হবে না। চুক্তি স্বাক্ষরের ২৩ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এখনো মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা হয়নি, সরকার এবং চুক্তি স্বাক্ষরকারীসহ যারা বাইরে আছে তাদের ভাবতে হবে। ভুমি ব্যবস্থাপনা, স্থানীয় পুলিশ, পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ আইন কার্যকর, সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার,  অস্থানীয়দের কাছে ভুমি ইজারা বাতিল, আভ্যন্তরীণ জুম্ম উদ্ধাস্ত ও ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীদের পুর্ণবাসন, বহিরাগত বাঙালীদের বাইরে সম্মানজনক পুর্নবাসনসহ জেলা পরিষদ নির্বাচনের দাবি জেএসএস নেতাদের। তারা আরো বলেন, শান্তি চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে কেবল ২৫টি ধারা বাস্তবায়িত হয়েছে। সরকার চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে মিথ্যাচার করছে।

জেএসএস নেতারা অভিযোগ করেন, জেএসএস নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে আর সংস্কারপন্থীদের প্রশাসন মদদ দিয়ে পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টি করছে।

রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর বলেছেন, সরকার শান্তি চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টি ধারা বাস্তবায়ন করেছে, বাকিগুলো বাস্তবায়নাধীন। কিন্তু চুক্তি স্বাক্ষরকারীদের অসহযোগিতার কারণে চুক্তি বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, শান্তি চুক্তির পরও পাহাড়ে এখন চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চলছে, চুক্তির সময় কিছু অস্ত্র জমা দিলেও এখনো অনেক অবৈধ অস্ত্র রয়ে গেছে। এসব অবৈধ অস্ত্র দিয়ে চাঁদাবাজি এবং আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। যতদিন পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র থাকবে ততদিন পাহাড়ে শান্তি আসবে বলে মনে করি না।

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তির পর গত ২৩ বছরে তিন পার্বত্য জেলায় অন্তত ১১ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।


পার্বত্য নাগরিক পরিষদের রাঙামাটি জেলা সভাপতি শাব্বির আহম্মদ বলেছেন, শান্তিচুক্তির ২৩ বছরেও পাহাড়ে শান্তি আসেনি, আগে এক গ্রুপ চাঁদাবাজি করত, এখন চার গ্রুপকে চাঁদা দিতে হয়। শান্তি চুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে সন্তু লারমাকে আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান করা হয়েছিলো তিনি তার মর্যাদা রাখতে পারেনিন। তাই আমরা মনে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও প্রত্যাহারকৃত সেনাক্যাম্প পুন:স্থাপনের মাধ্যমে কেবল পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসতে পারে।   



শান্তিচুক্তির পর উন্নয়নের দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে

পার্বত্য শান্তি চুক্তির পরও পাহাড় অশান্তি থাকলেও উন্নয়নের দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে। তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, পৌরসভা, এলজিইডি,  শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, ইউএনডিপির সিএইচটিডিপি প্রকল্প ও সেনাবাহিনী, রাস্তা-ঘাট, স্কুল কলেজ, ব্রিজ, কালবার্ট, মাদ্রাস মসজিদ, মন্দির, কেয়াং প্রাগোডা নির্মাণসহ ব্যাপক উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করেছে। রাঙামাটিতে মেডিকেল কলেজ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। নানিয়াচরের চেঙ্গি নদীর উপর নির্মাণ করা হয়েছে পাহাড়ের সবচেয়ে বড় দীর্ঘ সেতু। এছাড়া সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের সীমান্ত সড়কের (রাস্তা) কাজ চলছে। ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সমুহের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। একটি সরকারি সংস্থার হিসাবমতে পার্বত্য চুক্তির ২৩  বছরে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান পাহাড়ে অন্তত ১১ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন  করেছে। পাহাড়ের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সুবিধা পৌছে দিতে বর্তমানে ৬শ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের কাজ চলছে।

এছাড়া শান্তি চুক্তির ফলে সৃষ্টি হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়,  পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, পার্বত্য জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন। এছাড়া শান্তি চুক্তি অনুযায়ী তিনটি জেলা পরিষদে ৩৩টি বিভাগের মধ্যে রাঙামাটিতে ৩০টি, খাগড়াছড়িতে ৩০টি এবং বান্দরবানে ২৮টি বিভাগ হস্তান্তর করা হয়েছে। উপজাতি জনগোষ্ঠীকে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী হিসাবে সংসদে বিল পাশের মাধ্যমে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।