পাহাড়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি এড়াতে গাছ-পাহাড় নিধন বন্ধ করতে হবে

প্রকাশঃ ২৩ নভেম্বর, ২০২০ ০৫:১১:২৭ | আপডেটঃ ০৯ মে, ২০২৪ ০৩:৩২:২৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর জন্য নির্বিচারে গাছ কাটা, পাহাড় কাটা বন্ধ করতে হবে।  পাহাড়ের যে প্রান্তে গাছ ও পাহাড় কাটা হবে সেটা সামাজিকভাবে প্রতিহত করতে হবে। প্রয়োজনে প্রশাসনকে অবহিত করতে হবে।

সোমবার দুপুরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় স্থানীয় জনগণের অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নাগরিক সমাজ ও সরকারী প্রতিষ্ঠানসমুহের শক্তিশালী করণ শীর্ষক মত বিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। স্থানীয় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আশিকা ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েটস এ মত বিনিময় সভার আয়োজন করে।

সভায়  বক্তারা বলেন, ২০১৭ সালে রাঙামাটি জেলায় যে ভয়াবহ পাহাড় ধসে শতাধিক মানুষের প্রাণহানী হয় তার মুল কারণ ছিল প্রাকৃতিক দুর্যোগ। পাহাড়ের প্রকৃতিকে যদি ক্ষতিগ্রস্ত করা না হত তাহলে এত বড় প্রাণহাণি হত না। নির্বিচারে গাছ কাটা হয়েছিল, পাহাড় কেটে প্রাকৃতিক পরিবেশকে ক্ষতি করে বাড়িঘর নির্মাণ করা হয়েছিল। যার কারণে এত বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এ ক্ষতি কমাতে হলে প্রাকৃতিক পরিবেশকে ঠিক রাখতে হবে।  এজন্য দরকার জনসচেতনতা। এর পাশাপাশি এসব দুর্যোগ মোকাবেলা করতে মানুষকে প্রশিক্ষণ অর্জন করাটা জরুরী।

মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. মামুন।  এ সময় তিনি বলেন, পাহাড় থেকে অনেক প্রজাতির দেশী গাছপালা হারিয়ে যাচ্ছে। এগুলো সংরক্ষণ করা দরকার। পাহাড়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ ক্ষতি করে যেন কোন কিছু করা না হয় সেজন্য জনগণকে সচেতন হতে হবে। পাহাড় কেটে বাড়িঘর নির্মাণ বন্ধ করতে হবে।

আশিকা ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েট এর নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব চাকমার সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা, রাঙামাটি জেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা ওমর ফারুক, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, সাবেক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান কুসুম কুমার চাকমা, নারী হেডম্যান কার্বারী নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সান্তনা চাকমা।

মতবিনিময় সভা শুরুর আগে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আশিকা ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েটের প্রকল্প সমন্বয়ক বিমল কান্তি চাকমা।