কাপ্তাইয়ে কেপিএম এমডির অপসারণের দাবিতে প্রতিবাদ সভা

প্রকাশঃ ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০৪:১৭:২৫ | আপডেটঃ ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০৩:১১:১৩
সিএইচটি টুডে ডট কম, কাপ্তাই (রাঙামাটি)। কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনাস্থ এশিয়ার বৃহত্তম কর্ণফুলী পেপার মিলস লিঃ (কেপিএম) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এম এম এ কাদেরের অপসারণের দাবি জানিয়েছে উপজেলা আ.লীগের নেতাকর্মীসহ প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিক কর্মচারিরা। কেপিএম শ্রমিক কর্মচারী পরিষদের (সিবিএ) উদ্যোগে সোমবার (২৮ই সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কেপিএম সিবিএ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় এমন দাবি করেন বক্তারা।

বেসরকারি একটি টিভিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক, চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবি এবং কেপিএম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) বিরুদ্ধে কেপিএমের এমডি মিথ্যা সাক্ষাতকার দেওয়ার অভিযোগ তুলে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

কেপিএম সিবিএ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কাপ্তাই উপজেলা আ.লীগের সভাপতি অংসইছাইন চৌধুরী। কেপিএম সিবিএ সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চুর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী, উপজেলা আ.লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আবুল বশর, সাবেক ত্রাণ ও সমাজ কল্যান সম্পাদক হানিফ বাবুল, সাবেক সদস্য আকতার হোসেন মিলন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ ছিদ্দিকী, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি ফজলুল কাদের মানিক, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম. নুর উদ্দিন সুমন সহ আরও অনেকে। এসময় কেপিএমের স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিক, উপজেলা আ.লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ সর্বস্বরের জনগন উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবাদ সমাবেশে সিবিএ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দূর্নীতিবাজ এমডি যোগদানের পর হতে রাষ্ট্রীয় এই প্রতিষ্ঠানকে লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। তিনি কোটি কোটি টাকার লোকসান দেখিয়ে এ মিলকে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ার পায়তারা করছে এবং কেপিএম মিলের উন্নয়ন নামে কোটি কোটি টাকার আত্মসাত করেছে। তিনি বেসরকারি কাগজ উৎপাদনকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এজেন্ট হিসাবে কাজ করে এই মিলকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে, কেপিএম এর পাল্প উৎপাদন তিনি বন্ধ করে দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, কেপিএমের এমডি বিশাল বাংলোতে থেকে মাত্র ৩৭০০ টাকা বাসা ভাড়া দেন, অথচ শ্রমিক কর্মচারীরা নিন্ম মানের বাসায় বসবাস করে ৩ থেকে ৬ হাজার টাকা বাসা ভাড়া প্রদান করে। তিনি শ্রমিকদের মাসিক বেতন হতে কর্তনকৃত পিএফের টাকা সংশ্লিষ্ট ফান্ডে জমা করেন না এবং তিনি বিধিমতো পিএফ ঋণ বিতরণ না করে নিজের ক্ষমতাবলে দূর্নীতির বিনিময়ে টোকেনের মাধ্যমে পিএফ ঋণ প্রদান করেন। এইছাড়া এমডি কাদের নিজের ক্ষমতাবলে অবৈধভাবে বিনা ভাড়ায় কেপিএম এর বাসা বাড়িতে বহিরাগতদের থাকতে দিয়ে মিলের লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি করছেন।

কাপ্তাই উপজেলা আ.লীগ সভাপতি অংসুইছাইন চৌধুরী বলেন, কেপিএম এমডি ড. এম. এম. এ কাদের মিথ্যা বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা প্রার্থনা না করলে আমাদের কথা মতো ৪৮ ঘন্টার অতিবাহিত হওয়ার পর আগামীকাল কেপিএম মিল ঘেরাও, তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের সহ শ্রমিক কর্মচারীদের নিয়ে কঠোর কর্মসূচি প্রদান করা হবে। তখন যাবতীয় অনাকাঙ্খিত ঘটনার দায় ওনাকে নিতে হবে।

এবিষয়ে কেপিএমের এমডি ডা. এম এম এ কাদের জানান, আমি উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক, চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবির বিরুদ্ধে টিভিতে তারা মাদক ব্যবসা কিংবা বাসায় মাদকের আড্ডা বসান এমন কথা বলিনি। আমি বলেছি সন্ধ্যার পর অনেকেই এমন আড্ডা বসায়।