সাম্প্রদায়িক উদ্দেশে নয়, ডাকাতি করতে ঢুকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৭ জনকে আদালতে সোপর্দ

প্রকাশঃ ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০৭:৩২:৪৪ | আপডেটঃ ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ১০:৩৭:১০
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ি সদরের বলপাইয়া আদাম এলাকায় সংগঠিত গণধর্ষণের পেছনে সাম্প্রদায়িক কোন উদ্দেশ্য ছিল না। ডাকাতি করতে ঢুকে প্রতিবন্ধী ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছে গ্রেফতার হওয়া আসামীরা।

রোববার সকালে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, নুরুল আমিন, বেলাল হোসেন, ইকবাল হোসেন, আব্দুল হালিম, শাহিন মিয়া, মো. অন্তর ও আব্দুর রশিদ। তাদের সবার বাড়ি খাগড়াছড়ি সদর, গুইমারা, রামগড় ও মাটিরাঙ্গা উপজেলায়। 

চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর এ মামলার আসামীদের গ্রেফতার করা হয় জানিয়ে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ বলেন, ৯ জনের সংঘবদ্ধ একটি দল গণধর্ষণের পাশাপাশি ওই বাড়িতে লুটপাট চালায়। আসামীদের গ্রেফতারের পাশাপাশি লুটপাট হওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার এজহারে উল্লেখিত অভিযোগের সাথে আসামীদের স্বীকারোক্তির মিল রয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং বাকী দুই আসামীকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, গণধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনায় অংশ নেয়া ৯ জনের মধ্যে ৮ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অস্ত্র, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। কারাগারে বসে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। জামিনে বের হয়ে তারা বিভিন্ন এলাকায় সংঘবদ্ধ হয়ে ডাকাতি করত। গত বুধবার রাতেও ডাকাতি করার জন্য তারা আগে থেকে পরিকল্পনা করে।

এদিকে, পাহাড়ে ও সমতলে সংগঠিত সকল ধর্ষণের ঘটনার বিচারের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম এবং বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিল।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে খাগড়াছড়ি সদরের বলপাইয়া আদাম এলাকায় বাড়িতে ডাকাতি করতে ঢুকে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক নারীকে হাত পা বেধে গণধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ৯ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের পর পুলিশ ৭ আসামীকে গ্রেফতার করেছে।