খাগড়াছড়ির ১১টি হাসপাতালে রেড ক্রিসেন্ট’র সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম শুরু

প্রকাশঃ ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১২:২৭:৩৪ | আপডেটঃ ২৯ মার্চ, ২০২৪ ০২:৩৩:১৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ি জেলার ১১টি সরকারি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ (আইপিসি) কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, খাগড়াছড়ি ইউনিট। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্যি রেড ক্রস কমিটির যৌথ উদ্যোগে এই কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে আগামী দু’মাস এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

খাগাড়াছড়ি জেলা ও জেলার ৮টি উপজেলার মোট ১১টি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হাত ধোঁয়া ব্যবস্থার মান উন্নয়ন, ব্যবহৃত পিইি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জীবানুনাশক কার্যক্রমের জন্য হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের প্রশিক্ষণসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করা হচ্ছে।

বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় খাগড়াছড়ি জেলা হাসপাতালে আইপিসি কার্যক্রমের উদ্বোধন ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশের উপস্থিতিতে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল এবং মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে প্রকল্পের মালামাল হস্তান্তর করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও খাগড়াছড়ি রেড ক্রিসন্ট ইউনিটের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য কংজরী চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. পূর্ণ জীবন চাকমা, ডা. জয়া চাকমা, খাগড়াছড়ি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট জসীম উদ্দিন মজুমদার, খাগড়াছড়ি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের পিআইসি সদস্য সুইচিং থুই মারমা, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিল্পব বড়–য়া, মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের ইনচার্জ ডা. সুপর্ণা দে, খাগড়াছড়ি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট অফিসার আব্দুল গণি মজুমদার, আইসিআরসির ওয়াটহ্যাব ইঞ্জিনিয়ার রাতুল চাকমা প্রমূখ।

খাগড়াছড়ির ১১টি হাসপাতালে সরবরাহকৃত সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে ৩৪ ড্রাম ক্লোরিন সলিউশন, ৪৪৫ জোড়া প্রতিবার ব্যবহারের উপযোগী রাবার হ্যান্ড গ্লাভস, ৬৭০ পিস পিপিই, ১০১০ পিস গ্রাউন, ১০৪ জোড়া গামবুট, ১৩৬০০ পিস সার্জিক্যাল মাস্ক, ৩৩০০ পিস ডাস্টার ক্লথ, ৫৫০ পিস ফ্লোর মোপ সহ, গগলেস, প্লাস্টিক বাকেট, কন্টেইনার ইত্যাদি। এছাড়া প্রতিটি হাসপাতালে বর্জ্য পোড়ানোর ডাস্টবিন স্থাপন করছে রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট।

উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামের সরকারী হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র সমূহে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্যি রেড ক্রস। মূলত পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের জনসাধারণ ও তাদের সেবায় নিয়োজিত স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। আগামী নভেম্বর পর্যন্ত এই কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে মনিটরিং করবে খাগড়াছড়ি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের যুব রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবকেরা।