প্রকাশঃ ২৪ জুনe, ২০১৮ ১১:২২:৩২
| আপডেটঃ ২২ নভেম্বর, ২০২৪ ০৪:০৬:১১
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদর থেকে একটু দুরে খর¯্রােতা মাতামুহুরীর পাশ ঘেঁষে সেগুনকুঞ্জ বিথীকায় এগিয়ে চলছে শৈলকুঠির রিসোর্টের নির্মাণ কাজ। এ উপজেলায় কোন আবাসিক হোটেল কিংবা রিসোর্ট নেই। তাই জেলার কয়েকজন যুবক মিলে উদ্যোগী হয়েছেন আলীকদমকে পর্যটকবান্ধব করতে।আর তা থেকে একটি রিসোর্ট ও কটেজ নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এতে যুক্ত হয়েছেন কয়েকজন সংবাদকর্মী ও জনপ্রতিনিধি। উপজেলার নয়াপাড়া ইউনিয়নে নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঘেরা ওয়াইহ্লা কার্বারী পাড়া ও বণিক পাড়া সন্নিহিত মাতামুহুরী নদীর কুলঘেঁষে পাহাড়ের ঢালে মনোরম পরিবেশে নির্মাণাধীন কটেজের নাম দেয়া হয়েছে শৈলকুঠির রিসোর্ট।
রিসোর্টের জন্য নির্বাচিত স্থানটি
খরস্রোতা
তা মাতামুহুরীর তীর ঘেঁষে একটি পাহাড়। এখান থেকে দেখা যায় দিগন্ত বিস্তৃত গ্রন্থিল পাহাড় আর মাতামুহুরী নদীর পাশে সবুজ বন। রিসোর্ট এলাকাটি মার্মা ও বাঙ্গালী বসতির মাঝামাঝি স্থানে। যেখানে বিরাজ করে পাহাড়ি-বাঙ্গালীর বর্ণিল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আবহ।
রিসোর্টের উদ্যোক্তাদের একজন আলীকদম প্রেসক্লাব সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমদ জানান, আলীকদমে এ পর্যন্ত কোন আবাসিক হোটেল গড়ে উঠেনি। সরকারিভাবে রেস্ট হাউজ সুবিধাও তেমন নেই। তাই আমরা পর্যটকদের কথা বিবেচনায় রেখে রিসোর্ট ও কটেজ নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছি। পরিকল্পনামতে অগ্রসর হতে পারলে কোরবানীর ঈদের আগেই ঝমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শৈলকুঠির রিসোর্টের উদ্বোধন করা হবে।এরপর সর্বসাধারণের জন্য এটি উন্মুক্ত করা হবে। বিশেষ করে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা আমাদের রিসোর্ট থেকে সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
শৈলকুঠির রিসোর্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাংবাদিক আল-ফয়সাল বিকাশ জানান,‘ আলীকদম উপজেলার ঐতিহাসিক ঘটনার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আমাদের এ রিসোর্টের নামকরণ করা হয়েছিল ‘এংখ্যং রিসোর্ট’। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নামকরণ পাল্টে নতুন নামকরণের প্রস্তাব আসায় লটারীর মাধ্যমে ‘শৈলকুঠির রিসোর্ট’ নামকরণ করা হয়। আগামী কোরবানীর ঈদের আগে রিসোর্টের ৩টি কটেজ ও রেস্টুরেন্ট নির্মাণ করা সম্ভব হবে। পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে কটেজের সংখ্যা’। ইতোমধ্যে রিসোর্টের আভ্যন্তরীণ রাস্তা ও বিনোদনস্পটগুলো তৈরী করা হয়েছে।
কিভাবে যাবেন:
ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে বাসে করে চকরিয়ায় নামতে হবে। চকরিয়া বাস স্টেশন থেকে বাস অথব জীপ গাড়ি যোগে আলীকদম বাস স্টেশন নেমে রিক্সা অথবা অটোযোগে নয়াপাড়ায় যাওয়া যায়। আলীকদম বাস স্টেশন অথবা বাজার থেকে দেড় কিলোমিটার দুরেই এ রিসোর্টের অবস্থান।