চতুর্থ বর্ষে পদার্পন করলো সাপ্তাহিক পাহাড়ের সময়

প্রকাশঃ ১৩ অগাস্ট, ২০২০ ০৬:০৮:৩৩ | আপডেটঃ ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ০৬:১৯:২০
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। দেশের বহু গণমাধ্যম পুঁজিপতিদের দখলে চলে গেছে। সৎ এবং সত্য কথা লিখতে গিয়ে সাংবাদিকদেরা নানান নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তাই সাংবাদিকরা সৎ হলেও বহুলাংশে লিখতে পারছে কম। এর পরও সাংবাদিকরা দেশের জনগনের পাশেই রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ আগষ্ট) সাপ্তাহিক ‘পাহাড়ের সময়’ পত্রিকা চতুর্থ বর্ষে পদার্পন ও অনলাইন সংস্করণ এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাহাড়ের সময় সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি অনুপম বড়–য়া শংকর এসব কথা বলেন।

সকাল ১১টায় পত্রিকার কাঠালতলীস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে মোহাম্মদ আলী, সহযোগী সম্পাদক, পাহাড়ের সময় এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক গিরিদর্পনের সম্পাদক হাজী একেএম মকছুদ আহমেদ, রাঙামাটি রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা। বক্তব্য রাখেন, মোহাম্মদ সোলায়মান, সহ-সভাপতি, রাঙামাটি সাংবাদিক ইউনিয়ন, শান্তি ময় চাকমা, সভাপতি, জার্নালিষ্ট নেট ওয়ার্ক, মনছুর আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক, সাংবাদিক ফোরাম, মোহাম্মদ হান্নান, সাধারণ সম্পাদক, রাঙামাটি জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, মিলটন বড়–য়া সম্পাদক ও প্রকাশক সাপ্তাহিক পাহাড়ের সময়।

প্রধান অতিথি বলেন, পাহাড়ের সময় পরিবার সংবাদপত্র জগতে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের কল্যাণে এবং উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের অশান্ত পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণ করতে হলে সাংবাদিকদের আরো কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি দেশের গণমাধ্যম এর বিষয়ে বলেন, অধিকাংশ গণমাধ্যম পুঁজিপতি আর কর্পোরেট ব্যবসায়ীদের কব্জায় চলে যাওয়ায় সাংবাদিকরা সৎ হলেও বহুলাংশে লিখতে পারছে কম। সাংবাদিকরা সৎ এবং সত্য কথা লিখতে গিয়ে সাংবাদিকদের নানান নির্যাতনও করা হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সংবাদপত্রের অবদান বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, পার্বত্য বার্তার সম্পাদক আব্দুর রশিদ হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে আমাকেও নানান হয়রানি করেছিল। অনেক কষ্টের বিনিময়ে এখানে কয়েকটি পত্রিকা টিকে রয়েছে। সাপ্তাহিক বনভুমি এবং দৈনিক গিরিদর্পন, দৈনিক রাঙামাটি এবং দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রামসহ তিন পার্বত্য জেলার সংবাদপত্রগুলোর সম্পাদক মালিকরা টিকিয়ে রেখেছে। তারমধ্যে সপ্তাহিক পাহাড়ের সময় পত্রিকাও একই কষ্টের বিনিময়ে টিকে আছে। দেশে সাংবাদিক নির্যাতন নিপীড়ণ এবং হত্যা ঘটনা সুশীল সমাজকে ভাবিয়ে তুলেছে। কিন্তু যারা সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করতে চায় তাদের সময় ফুরিয়ে আসছে। একটি সময় দেখা যাবে তারা পলায়ন করছে। তাই সাংবাদিকদের মুষ্টিবদ্ধ থাকতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হাজী একেএম মকছুদ আহমেদ বলেন, পাহাড়ের সময় পত্রিকা এত কষ্টের বিনিময়েও যে নিয়মিত রেখেছে তা প্রশংসার দাবি রাখে। তাদের অনলাইন সংস্করণও ভালো ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, বস্তুনিষ্ট সাংবাদিকতা এ পেশার উন্নয়ন ঘটাবে নিঃসন্দেহে। পাহাড়ের সময় তিন বছর শেষ করে চতুর্থ বছরে পা রেখেছে এটি কঠিন ব্যাপার। আমাদের সময়ে আমরা অনেক কষ্টের বিনিময়ে পত্রিকা টিকিয়ে রেখেছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুশীল প্রসাদ চাকমা বলেন, সাপ্তাহিক পত্রিকার কদরটাই আলাদা। দৈনিকে কোন সংবাদ প্রকাশের দিন প্রকাশ করতে না পারলে তার আর গ্রহনযোগ্যতা থাকেনা। কিন্তু একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা তার প্রকাশ ঘটিয়ে সমাজে যথেষ্ট অবদান রাখতে পারে। তিন পার্বত্য চট্টগ্রামের সংবাদ নিয়ে সাপ্তাহিক পাহাড়ের সময় যে অবদান রেখে চলেছে তা প্রশংসার যোগ্য বলে উল্লেখ করেন। নতুন করে তাদের অন লাইন সংস্করণ আরো ভালো ভূমিকা পালন করবে।

পরে অতিথিবৃন্দ কেক কেটে সাপ্তাহিক ‘পাহাড়ের সময়’ পত্রিকা চতুর্থ বর্ষে পদার্পন ও অনলাইন সংস্করণ এর শুভ উদ্বোধন।