সাজেক ও দুমদুম্যায় এক হাজার দরিদ্র পরিবারকে ত্রাণ দিবে আশিকা

প্রকাশঃ ০৭ জুনe, ২০২০ ১১:০৫:৩৮ | আপডেটঃ ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ০১:৪২:৪৫
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। সাজেক ও দুমদুম্যা’র এক হাজার দরিদ্র পরিবারকে বিপুল পরিমাণ ত্রাণ দেবে আশিকা।

কাল (সোমবার) সকাল ১১টায় মাচলং বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিটি পরিবারকে এক মন চাল, চার লিটার তেল, চার লিটার মসুর ডাল, চার কেজি মটরডাল, এক কেজি চিনি, এক কেজি লবন, পাঁচ কেজি আলু এবং দুই কেজি করে ঙাপ্পি প্রদান করা হবে।

আশিকা’র প্রকল্প সমন্বয়কারী বিমল কান্তি চাকমা জানান, ইউকে এইড-এর অর্থায়নে স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশের সহযোগিতায় পার্বত্য রাঙামাটি জেলার দুর্গম ও দারিদ্র রিবেচনায় বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের ৭’শ এবং জুরাছড়ি উপজেলার দুমদুম্যা ৩’শ পরিবারকে এই কর্মসূচির আওতায় নেয়া হয়েছে। এসব পরিবারকে ত্রাণ ছাড়াও প্রতিটি পরিবারকে দেড় হাজার লিটারের একটি পানির ট্যাংকসহ পানি বিশুদ্ধকরণ উপকরণ দেয়া হবে।

সাজেক এলাকার একমাত্র সংবাদকর্মী মো: জুয়েল জানান, নামে পর্যটন এলাকা হলেও এখানকার পরিবহন এবং ট্যুরিজম ব্যবসার সিংহভাগ নিয়ন্ত্রণ অস্থানীয়দের। এখানকার মানুষের সুখে-দু:খে সরকার ও সেনাবাহিনী-বিজিবি ছাড়া আর কেউই অবদান রাখেন না।

বিগত দুই মাসে এনজিও ‘আশিকা’ দুর্গম এলাকার হাম আক্রান্ত ও দরিদ্র পরিবারগুলোর পাশে চিকিৎসা-নগদ ও ত্রাণ সহায়তা নিয়ে পাশে না দাঁড়ালে সাজেক এলাকার পরিস্থিতি অনেক বেশি নাজুক হয়ে পড়তো বলে মনে করেন স্থানীয় মৌজা প্রধান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গরেন্দ্র ত্রিপুরা।

আশিকা’র নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব চাকমা জানান, পর্যটনস্পট হিশেবে সারাদেশে পরিচিত ভারতের সীমান্ত লাগোয়া সাজেকের মানুষের সমস্যার গভীরতা ও ব্যাপকতা অনেক বেশি। কৃষি-শ্রম ও জুম নির্ভর প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠির সামগ্রিক উন্নয়নে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা ও উদ্যোগ প্রয়োজন।

তিনি প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের ইতিবাচক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ভবিষ্যতে এই জনপদের কল্যাণে উন্নয়ন সহযোগীদের মনোযোগ আকর্ষনের জন্য ‘আশিকা’ সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

সাজেক ইউপ চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা নয়ন জানান, দেশের বেশ কয়েকটি জেলার চেয়ে বড়ো এই ইউনিয়নে লুসাই-পাঙ্খো-চাকমা-ত্রিপুরা ছাড়াও বাঙালি জনগোষ্ঠির বসবাস রয়েছে। উপকারভোগী নির্বাচনে হেডম্যান-কার্বারী-ইউপি সদস্য ছাড়াও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতা নেয়া হয়েছে। প্রতিটি সম্প্রদায় থেকে প্রকৃত দরিদ্রদেরকেই বাছাই করা হয়েছে।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান হাবিব জিতু জানান, দুর্গম এলাকাগুলোতে সচরাচর বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) কাজ করতে চায় না। সেক্ষেত্রে ‘আশিকা’ সাজেকবাসীর দুর্দিনে পাশে দাঁড়িয়েছে। ভবিষ্যতেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে কোন ধরনের সহায়ক উদ্যোগের সাথে প্রশাসন একাত্ম হয়ে কাজ করবে।