দুর্গম এলাকায় ত্রাণ পৌছাতে প্রয়োজনে হেলিকপ্টার ব্যবহারের আহবান চাকমা সার্কেল চীফের

প্রকাশঃ ০৫ জুনe, ২০২০ ০৫:৩৮:৩১ | আপডেটঃ ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১০:২০:৫২
ষ্টাফ রিপোটার, রাঙামাটি। চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় বলেছেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কর্মহীন ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাড়াতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকার ও প্রশাসন। এরপরও রাঙাাটির চাকমা সার্কেলের অনেক অঞ্চলে দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থা ও মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় সীমান্তবর্তী এলাকায় ত্রাণ পৌছেনি, এসব এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, চাকমা সার্কেল ও বিশিষ্ট নাগরিকদের পক্ষে থেকে কিছু ত্রাণ হওয়া হলেও দুর্গম অঞ্চলে সরকারি সহায়তা প্রয়োজন।
শুক্রবার সকালে রাঙামাটি চাকমা সার্কেল চীফ এর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা জানান।

চাকমা সার্কেল চীফ আরো বলেন, জুরাছড়ির দুমদুম্যা এলাকায় সেনাবাহিনী যেভাবে হেলিকপ্টারে করে কিছু ত্রাণ পৌছে দিয়েছে একইভাবে  বাঘাইছড়ির সীমান্তবর্তী বেটলিং, শিয়ালদাহ, বরকলের হরিণা, ঠেগামমুখ এলাকাসহ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোতে সেনা ক্যাম্প বা বিজিবি ক্যাম্পের ত্রাণ সহায়তা পৌছে দিতে পারে সরকার।

রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় আরো বলেন, একদম ত্রাণ পায়নি এমন গ্রামের সংখ্যা আমরা ৩৬টি পেয়েছি, হেডম্যান, কার্বারীদের মাধ্যমে আমরা তালিকা করছি, এসব তালিকা আমরা পার্বত্যমমন্ত্রী ও সরকারের পৌছিয়ে দিব যেন এসব দরিদ্র মানুষগুলো ত্রাণ সহায়তার মধ্যে আসে।

তিনি আরো বলেন, আমরা দেখেছি বিভিন্ন সংস্থা, এনজিও, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সরকার ত্রাণ দিচ্ছে সেগুলো প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল, ৬ কেজি বা ৭ কেজি চাল দিয়ে একটি পরিবার চলতে পারে না, তার পুরো মাসের খোরাকি দরকার। কিছু ২৫ কেজি করে এক বস্তা চাল দেয়া হলেও বেশীর ভাগই কর্মহীন মানুষকে ৬ কেজি চাল দেয়া হয়েছে, এগুলো দিয়ে চার দিনও চলা সম্ভব নয়।

ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় আরো বলেন, জুম চাষী, ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীরা এখনো সরকারি সহায়তায় পায়নি তাদের ত্রাণের অর্ন্তভুক্ত করা প্রয়োজন।


ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় আরো  বলেন, পাহাড়ে করোনা শনাক্ত ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে তিনটি পার্বত্য জেলার মধ্যে অন্তত: রাঙামাটি সদরে হলেও অবিলম্বে একটি পরীক্ষার ল্যাব স্থাপন জরুরি। এখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠিয়ে পরীক্ষার প্রতিবেদন পেতে অনেক বিলম্ব ঘটছে। রিপোর্ট পেতে পেতে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে। কারও উপসর্গ দেখা দিলে চট্টগ্রাম গিয়ে নমুনা দিয়ে পরীক্ষা করা সম্ভব নয়। ফলে পিছিয়ে পড়া পার্বত্য অঞ্চলে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই আক্রান্তদের চিকিৎসা ও রোগী শনাক্ত নিশ্চিত করতে রাঙামাটিতে জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্ত আইসিইউসহ করোনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপনের দাবি জানান, চাকমা রাজা।



একই দাবি জানিয়েছেন, এ সময় উপস্থিত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান।