প্রকাশঃ ২৬ মে, ২০২০ ০৩:০৯:১৫
| আপডেটঃ ২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ০৩:০১:৪১
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। বান্দরবানের সবুজ পাহাড়ের নান্দনিক সৌন্দর্য্য আর আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পাহাড় পর্বত যে কাউকে মুগ্ধ করে। কিন্তুু করোনার সংক্রামক প্রতিরোধে গত ২৫মার্চ থেকে বান্দরবানের বিনোদন কেন্দ্রগুলো পর্যটকদের ভ্রমনের জন্য বন্ধ করে দেয় জেলা প্রশাসন, আর তাই ঈদের এই বন্ধে পর্যটক শুন্য বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রগুলো।
বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্র নীলাচল, নীলগিরি, শৈলপ্রপাত,চিম্বুক পাহাড়,নব দিগন্ত,প্রান্তিক লেকসহ সকল পর্যটনস্পটগুলোতে এবারের ঈদে পর্যটকদের আনাগোনা নেই। এদিকে পর্যটনস্পট বন্ধ থাকায় এর সাথে জড়িত পর্যটকবাহী যান এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে গেল ২মাস যাবৎ, আর এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
বান্দরবানের আবাসিক হোটেল হিলটনের স্বতাধিকারী অমল কান্তি দাশ বলেন, করোনার কারণে গেল ৩ মাস ব্যবসা বন্ধ রয়েছে ,আর এর ফলে আমাদের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। তিনি আরো বলেন, প্রতিবছর ঈদের বন্ধে বান্দরবানে প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটলে ও এবার চিত্রটা ব্যতিক্রম,এবারে করোনায় জেলার সকল পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকায় আমাদের সকলের ব্যবসা একেবারেই ক্ষতি হয়ে গেল।
বান্দরবানের আবাসিক হোটেল হিলভিউ এর জিএম মো.সুলতান নাফিজ বলেন,করোনায় এবারে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় বান্দরবানে পর্যটক নেই। আমাদের হোটেল বন্ধ ,আমরা কর্মহীন হয়ে পড়েছি।
চলতি বছরে করোনার ব্যাপক প্রাদুর্ভাব তার ওপর ঘুর্ণিঝড় আম্মানের কারণে প্রচুর বৃষ্টিপাতের প্রভাবে পাহাড়ের পর্যটন ব্যবসায় নেমেছে এসেছে ব্যাপক ধস, ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারি বেসরকারি সহায়তার দাবি পর্যটন সংশ্লিষ্টদের। বান্দরবানের আবাসিক হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো:সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের এবারের সময়টা সবচেয়ে বেশি খারাপ যাচ্ছে ,আমরা প্রত্যেক পর্যটন ব্যবসায়ী ব্যবসা বন্ধ করে ঘরে আছি। সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো:সিরাজুল ইসলাম আরো বলেন,আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত প্রনোদনা দেয়া হলে আমাদের ক্ষতিটা আমরা অনেকটাই পুষিয়ে নিতে পারবো।
বান্দরবান জেলায় ৬০টি হোটেল মোটেল রয়েছে আর পর্যটকবাহী যান রয়েছে প্রায় ৪ শতাধিক আর এই পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত জেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষ।