দীর্ঘ একযুগ পর কংজরী চৌধুরী’র উদ্যোগে রামগড় প্রেসক্লাবের দুয়ার খুললো

প্রকাশঃ ১৩ মে, ২০২০ ১১:১৫:১৬ | আপডেটঃ ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:৫৫:০৮
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী’র উপস্থিতিতে  বুধবার (১৩ মে) দীর্ঘ একযুগ পর ঐতিহ্যবাহী রামগড় প্রেসক্লাব ভবনের তালা খোলা হয়েছে।  গত ১০ মে  রামগড়ের সাংবাদিকতা এবং প্রেসক্লাব কেন্দ্রিক বুদ্ধি বৃত্তিক কর্মকান্ড এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয়ে প্রগতিশীল প্রতিনিধিদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্লাবের তালা খোলার সিদ্ধান্ত নেন।

পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  কংজরী চৌধুরী  ১৯৯৩ সালে রামগড় প্রেসক্লাব ভবন নির্মাণে নিজের ভুমিকার কথা স্মরণ করে বলেন, 'রামগড়  প্রেসক্লাবের সাথে আমার আবেগ- আত্মার  সম্পর্ক  জড়িয়ে আছে। তৎকালীন স্থানীয়  সরকার পরিষদ চেয়ারম্যান সমীরণ  দেওয়ানের আন্তরিকতায় ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে পরিষদের বেশ কয়েকজন সদস্য (রামগড়ের বাসিন্দা) গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখেন।

তিনি জানান, রামগড় প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও পার্বত্য চট্টগ্রামের  অন্যতম প্রবীন সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা সুবোধ বিকাশ ত্রিপুরা, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোঃ নিজাম উদ্দিন লাভলু,  প্রয়াত সাংবাদিক সমীর দেবনাথের উদ্যোগের ফসল এ প্রেসক্লাব ভবন। দীর্ঘদিন যাবৎ ক্লাবটি বন্ধ থাকাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে এখানকার সাংবাদিকরা নিজেরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত  হয়েছেন, তেমনি রামগড়বাসীও  তাঁদের প্রাপ্য অধিকার  হতে বঞ্চিত হয়েছে।

জেলা পরিষদের  চেয়ারম্যান  আরও বলেন, 'দীর্ঘ বছর পর ক্লাবটি খোলার খবর পেয়ে  খুবই  ভাল লেগেছে,  খুশি হয়েছি।'  নিজেদের দ্বন্ধ বিভেদ  ভুলে গিয়ে  প্রেসক্লাবটি পুনর্জীবিত করে গণ মানুষের কল্যাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি তিনি আহবান জানান।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মংপ্রু চৌধুরী,  রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা, জেলা আওয়ামীলীগের নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান  শের আলী ভুইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নুরুল আলম, রামগড় প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সা: সম্পাদক নিজাম উদ্দিন লাভলু ও সাংবাদিক শুভাশীষ দাশ উপস্থিত  ছিলেন।

পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী  প্রেসক্লাব ভবনটি ঘুরে দেখেন। দীর্ঘদিন তালাবদ্ধ  থাকায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়া প্রেসক্লাব ভবনের সার্বিক উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পরে তিনি করোনা প্রেক্ষিতে স্থানীয়  সাংবাদিকদের আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করেন।

প্রেসক্লাবে আগমনের পর সাংবাদিকরা তাঁকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।